শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: হাড়হিম-করা হত্য়াকাণ্ড (Murder) কোচবিহারের (Coochbehar) শীতলকুচিতে। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য়া (TMC Panchayat Member), স্বামী ও এক মেয়েকে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। অভিযুক্তদের একজনকে ধরেও ফেলেন তাঁরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্য়ুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে দম্পতির আরেক মেয়ে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত আটক ৩।


কী ঘটেছিল?
আজ ভোর রাতে হাসপাতাল পাড়ায় শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য়া, নীলিমা বর্মনের বাড়িতে হামলা হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভোর সাড়ে চারটে থেকে পাঁচটার মধ্যে একদল দুষ্কৃতীবর্মন দম্পতির বাড়িতে হামলা চালায়। সম্ভবত ধারাল কোনও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বাড়ির সদস্যদের। এলাকার লোকজন চলে এলে দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে এক জনকে ধরে ফেলেছিলেন প্রতিবেশীরা। পরে তাঁকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু কী কারণে এই ঘটনা? রাজনৈতিক কারণ নাকি নেপথ্য়ে কোনও ব্য়ক্তিগত শত্রুতা রয়েছে, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্তও। চলছে বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজও।


জলপাইগুড়ির ঘটনা...
কয়েকদিন আগেই জলপাইগুড়িতে নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন ও তাঁর স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তোলপাড় পড়ে যায়। ভাইরাল সুইসাইড নোট ঘিরে শোরগোল। ৬ বছর আগে যাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে জলপাইগুড়িতে শিশুপাচার চক্রের পর্দাফাঁস হয়েছিল, সস্ত্রীক সেই ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুতে দানা বাঁধে রহস্য। গত শনিবার সকালে জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়া এলাকার এই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দম্পতির মৃতদেহ। ঘটনার পরে পরই ভাইরাল হয়েছে চারপাতার একটি দীর্ঘ সুইসাইড নোট, যার ছত্রে ছত্রে বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে! ভাইরাল সুইসাইড নোটের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। তবে এই চিঠিকে হাতিয়ার করেই, জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ও যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়-সহ চারজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। তিনি আবার সম্পর্কে মৃত সুবোধ ভট্টাচার্যর দিদি। ভাইরাল সুইসাইড নোটে সুবোধ ভট্টাচার্যর স্ত্রী অপর্ণা ভট্টাচার্যর বয়ানে লেখা হয়েছিল, ২০১৭ সালে শিশুপাচার চক্রের পর্দাফাঁস করায় তাঁদের দীর্ঘদিন ধরে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল। জোরজবরদস্তি নগদে ৫ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। এমনকি শিশুপাচার চক্রের পর্দাফাঁস করার খেসারত হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে ২০ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রির মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়।


আরও পড়ুন:বিমানের সিটের নিচে কোবরা ! বাধ্য হয়ে জরুরি অবতরণ পাইলটের