শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে বালিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় আর্থিক সাহায্যের নির্দেশ আদালতের।উল্লেখ্য, শিলিগুড়িতে (Siliguri) অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের সময় ২ নাবালক সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদের ২০ লক্ষ টাকা ও আহতকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের নির্দেশ দিল এবার জাতীয় পরিবেশ আদালত (Court)। ১ মাসের মধ্যে অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ করার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোর্টের তরফে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ মার্চ শিলিগুড়ির বালাসন নদী থেকে ট্রাকে বালি তোলার সময় মৃত্যু হয় ৩ জনের। বেআইনি ভাবে বালি তুলে পাচারের অভিযোগ দৈনিক ৩৫০ টাকার বিনিময়ে আহত ও নিহতদের কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে জাতীয় পরিবেশ আদালত, সেই মামলাতেই এই নির্দেশ।
সম্প্রতি, এবিপি-র খবরের জেরে, বালির অবৈধ কারবার রুখতে সোনারপুরে অভিযান চালিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু বালি চোরাচালানে জড়িত মাথা-রা এখনও অধরা। কবে তাঁদের গ্রেফতার করবে পুলিশ? তা নিয়ে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক তরজা। বছরের পর বছর এই ভাবে যে কত সাদা বালি চুরি হয়েছে, তার কোনও হিসেব নেই। তাও কলকাতার একেবারে অদূরে। মাত্র ৮-১০ কিলোমিটার দূরে, সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের খেয়াদায়। অবৈধ খাদান থেকে ট্রাক ট্রাক বালি চুরির এই কারবার, তুলে ধরেছিল এবিপি। খবরের জেরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়েছিল প্রশাসন। ছিলেন সোনারপুরের বিডিও, BLLRO-সহ জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্তাব্যক্তি।
বালি চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল লরি অ্যাসোসিয়েশনের একজন সদস্যকেও। যিনি আমাদের ক্যামেরার সামনেই অবৈধ বালি কারবারের কথা স্বীকার করেন। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়, চারটে লরি , কয়েকটি মাটি কাটার যন্ত্র এবং পাম্প বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। কিন্তু, বালি কারবারের সঙ্গে জড়িত মাথারা ধরা পড়বে কবে? যারা ক্যামেরার সামনে বুক ফুলিয়ে বলতে পারেন যে, অবৈধভাবেই বালি পাচার হচ্ছে বছরের পর বছর।
আরও পড়ুন, ধৃতকে জেরা করতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে ! বিপদ এড়াল বীরভূম
সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ি বলেছিলেন, 'আমরা ডেপুটেশন দিয়েছি কোনও কাজ হয়নি। আপনারা দেখিয়েছেন একটু হইচই হয়েছে। আপাতত লোকের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য এটা হচ্ছে। একজন ধরা পড়েছে বলুন তো, যারা চোর। বালি চোর মাটি চোর? কাউকে কি আদৌ গ্রেফতার করেছে? প্রশাসন তো ঘুমোচ্ছে ।'