রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগণা: পুজোর পর ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। জেলায় জেলায় ফিরেছে কনটেনমেন্ট জোন। কোভিড বাড়ায় এবার কড়া পদক্ষেপ সোনারপুরে। ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিনের কার্যত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই কোভিড বিধি পালনে কড়া পদক্ষেপ পুলিশের। সকাল থেকে গড়িয়া, বালিয়া সহ একাধিক বাজারে নজরদারি ও মাইকিং করছে পুলিশ। যারা মাস্ক ছাড়াই বের হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।       


সোনারপুর এলাকায় এখনও পর্যন্ত ১৯টি কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) উৎসবের পরে রাজ্যে কোভিড -১৯ বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বঙ্গ সরকারকে একটি চিঠি লিখেছে। ICMR উল্লেখ করেছে যে দুর্গা পুজোর পর থেকে কোভিড কলকাতায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে।     


আরও পড়ুন, শ্মশানে ৫টি মানুষের খুলি রেখে শুরু হয় পুজো, স্বপ্নাদেশে পাওয়া পাথরেই পূজিত হন নারায়ণগড়ের ত্রিশূল কালী


আগামী তিনদিন যাতে সকলেই বিধিনিষেধ মেনে চলেন সেই বিষয়েও সবাইকে সচেতন করছে পুলিশ। এছাড়াও মেদিনীপুর শহরের, রবীন্দ্রনগর, বাটাউন ও বিধাননগর এলাকায় বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। তারপরই, এই এলাকাগুলিকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এলাকায় টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে ফ্লেক্স। পুরসভা ও পুলিশের উদ্যোগে, এলাকাগুলিকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করা হচ্ছে।                 



                                     



এছাড়াও, খড়গপুর শহরের ৯টি এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার করছে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জানিয়েছেন, যে সব এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। ওই সব এলাকায় গণ পরিবহণ, দোকান-বাজার বন্ধ রাখা হয়েছে।