রঞ্জিৎ হালদার, সোনারপুর: ভ্যাকসিনের জন্য কুপন বিলিকে কেন্দ্র করে সোনারপুরে হাতাহাতি। 


গতকালই, নবান্নর তরফে জানানো হয়, ভিড় সামাল দিতে কুপন ছাড়া ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। অন্তত ১-২ দিন আগে কুপন দিয়ে দিতে হবে। কুপন ছাড়া কেউ আসতে পারবে না। আর সেই কুপল বিলিকে ঘিরেই চরম উত্তেজনা সোনারপুরে।


কালিকাপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত অফিসে ভোর থেকেই ছিল লম্বা লাইন। কে আগে কুপন নেবেন তা নিয়ে লাইনে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। বেধে যায় হাতাহাতি। ধাক্কা মেরে কয়েকজনকে লাইন থেকে বের করে দেওয়া হয়। 


পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন ১২০০ কুপন বিলি করা হয়। তার থেকে বেশি মানুষ লাইনে দাঁড়ানোয় শুরু হয় কুপন কাড়াকাড়ি। অনেকেই কুপন না পেয়ে ফিরে যান।


ভ্যাকসিন নিয়ে হয়রানির ছবি এরাজ্যে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। গতকালই ভ্যাকনিনকে ঘিরে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ভ্যাকসিন সেন্টারে দেখা গিয়েছিল চরম বিশৃঙ্খলা। ভ্যাকসিন পেতে গিয়েই পদপিষ্ট হওয়ার জোগাড় হতে হয়েছিল।


টিকাকরণ কেন্দ্রের গেট খুলতেই হুড়মুড়িয়ে দৌঁড় লাগালেন সবাই। দৌঁড়তে না পেরে পড়ে গেলেন অনেকেই। আর তখনই বাধে বিপত্তি।


কারোর গায়ের ওপর দিয়েই চলে গেলেন অনেকেই। কারোর মাথা ফাটে। কেউ আবার অজ্ঞান হয়ে যান। অসুস্থ হয়ে পড়ায় কারও মাথায় ঢালতে হয় জল। 


পড়ে গিয়ে প্রায় ১৫ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও এদিন দেখা যায় একই দৃশ্য। যত পরিমাণ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, তার কয়েকগুণ বেশি ভিড় হয়ে যাওয়ায় শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি। 


বিভিন্ন জেলা থেকে ভ্যাকসিনেশন শিবিরে বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। মঙ্গলবার সন্ধেয় সমস্ত জেলার জেলাশাসক, পুলিশকর্তা এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। 


নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে ভিড় সামাল দিতে কুপন ছাড়া ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। অন্তত ১-২ দিন আগে কুপন দিয়ে দিতে হবে। কুপন ছাড়া কেউ আসতে পারবে না। 


কিন্তু, এদিন সোনারপুরে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে সেই কুপল বিলিকে ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।