ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তারপরও আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগীকে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। টালিগঞ্জের বাসিন্দা এক মহিলাকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে, রবিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিডনির সমস্যা থাকায় তাঁর ডায়ালেসিস চলছিল।
রোগীর মেয়ের অভিযোগ, কোভিড টেস্টের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হবে বলা হয়েছিল। কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরও তাঁকে মেডিসিন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়নি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে চিকিত্সক অধ্যাপকদের শূন্য পদ নিয়ে ফের বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সম্প্রতি পদোন্নতি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। আর তাতেই প্রশ্ন উঠেছে, শূন্য পদ পূরণ না করে যদি পদোন্নতি করে চিকিত্সকদের বদলি করা হয়, তাহলে কাজ চলবে কীভাবে?
আরও পড়ুন, স্বস্তি বাড়িয়ে রাজ্যে কমল করোনা আক্রান্ত, সংক্রমণে শীর্ষে কলকাতা
রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চিকিত্সক প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরদের পদোন্নতি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের তালিকা দিয়ে চিকিত্সক অধ্যাপকদের আবেদন করতে বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই ফের শূন্য পদ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রাজ্যে এখন ১ হাজারের কাছাকাছি চিকিত্সক অধ্যাপক পদ শূন্য। বিভিন্ন বিভাগে এই পদগুলি শূন্য রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, চিকিত্সক প্রফেসর পদ শূন্য ১৫৭টি। ৩৫১টি অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদ শূন্য রয়েছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের শূন্য পদ ১৯৩। এছাড়া রয়েছে রিজার্ভ ক্যাটিগরি। এরই মধ্যে রাজ্যের বারাসাত, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ, ঝাড়গ্রাম, তমলুক, জলপাইগুড়ি- এই ৬টি সরকারি হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলি ধরেই শূন্য পদের এই তালিকা তৈরি হয়েছে। অর্থাত্, নতুন করে কাউকে নিয়োগ না করে, এক মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসরকে অন্য জায়গায় পাঠানো হবে। এর বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিভিন্ন চিকিত্সক সংগঠন।