শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজ্য সরকার প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে আপাতত নিয়ন্ত্রণে করোনা সংক্রমণ। কিন্তু তার মধ্য়েও চিন্তা বাড়াচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা এলাকা। সেখানে ফের ঊর্ধ্বমুখী কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ। এই সংক্রমণের গ্রাফে রাশ টানতে নতুন করে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হল গোসাবায়। একইসঙ্গে বাজার বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। 


ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়ছে সুন্দরবনের গোসাবা এলাকায়। একসময় দ্বীপাঞ্চল হওয়ার কারণে এই গোসাবা অঞ্চলই ছিল করোনার থাবা থেকে মুক্ত, অন্যতম সুরক্ষিত এলাকা। তবে কি করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ল গোসাবায়? কারণ বর্তমানে গোসাবায় প্রত্যেকদিনই বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, অগাস্ট মাসের শুরুতেও ওই অঞ্চলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল শূন্য। কিন্তু গত রবিবার পর্যন্ত ওই অঞ্চলেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ৬২ ছুঁয়েছে। এরপর সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা প্রশাসনের। 


ক্রমাগত এই ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের ফলেই নতুন করে বেশ কিছু এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সমস্ত এলাকাকে ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি গোসাবা, ছোট মোল্লাখালি, সাতজেলিয়া এলাকায় আজ থেকে টানা তিনদিন বাজারও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। 


গোসাবা ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, বিগত কিছু দিন ধরেই ক্রমাগত সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। তাই চারটি জায়গায় নতুন করে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গোসাবা বাজার থেকে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল পর্যন্ত, রাঙাবেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রানিপুর পূর্ব পাড়া, রাজাপুর পশ্চিম পাড়া এবং ছোট মোল্লাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের হেঁতালবাড়ি দক্ষিণ পাড়া, এই চারটি এলাকাকে নতুন করে চিহ্নিত করে কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। শুধু কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা বা বাজার বন্ধই নয়, সোমবার থেকেই গোসাবা ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে এলাকায় করোনা অতিমারীর বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে মাইকিং শুরু করা হয়েছে।