নয়াদিল্লি: করোনার (Corona) উপসর্গ থাকলে করতেই হবে পরীক্ষা। জানিয়ে দিল আইসিএমআর (ICMR)। করোনা টেস্টের (Covid19 Test) নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে আইসিএমআর। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, অতিরিক্ত কোমর্বিডিটি (Co-Morbidity) থাকলে সংস্পর্শে এলেই করতে হবে টেস্ট। অতিরিক্ত কোমর্বিডিটি না থাকলে উপসর্গহীনদের টেস্টের প্রয়োজন নেই। 



আর কী বলা হয়েছে আইসিএমআর-এর গাইডলাইনে?



  • উপসর্গ থাকলে কোভিড টেস্ট করতে হবে।

  • কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এলে সংশ্লিষ্টদের সংস্পর্শে আসা অতিরিক্ত কো-মর্বিডিটি যাঁদের রয়েছে তাঁদের অবশ্যই টেস্ট করাতে হবে।

  • যাঁদের অতিরিক্ত কো-মর্বিডিটি নেই, উপসর্গও নেই তাঁদের টেস্টের প্রয়োজন নেই।

  • কোভিড রোগীদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের আইসোলেশনে থাকতে হবে।

  • উপসর্গ না থাকলে টেস্ট করার প্রয়োজন নেই।

  • আইসিএমআর গাইডলাইনে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, ‘এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গেলে করাতে হবে না কোভিড টেস্ট।’

  • এমনকী কোভিড আক্রান্ত হাসপাতাল থেকে মুক্তির সময়ও টেস্ট করাতে হবে না।

  • করোনা পরীক্ষা করাতেই হবে উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের ( যাদের কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা, স্বাদ এবং/অথবা গন্ধ অনুভূতি চলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট এবং/অথবা শ্বাসকষ্টের অন্যান্য উপসর্গ থাকা) কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হবে

  • করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন, এমন ৬০ বছরেরও বেশি বয়সী এবং কোমর্বিডিটি আছে,  যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুস বা কিডনি রোগ, ম্যালিগন্যান্সি এবং স্থূলতায় ভোগেন, এমন মানুষরা অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নেবেন।

  • আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারী ব্যক্তিদের পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এছাড়াও ভারতের এয়ারপোর্টে বিদেশ থেকে এসে করোনা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক।

  • উপসর্গ নেই, এমন রোগীদের অস্ত্রোপচার বা অন্য কারণে, গর্ভবতী মহিলা যিনি  হাসপাতালে ভর্তি আছেন প্রসবের জন্য, তাদের পরীক্ষা করার দরকার নেই যদি না লক্ষণ থাকে। 


এদিকে করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমশই চিন্তা বৃদ্ধি করছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)।  বাংলার করোনা পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Ministry Of Health) আজ জানিয়েছে, ‘পজিটিভিটি রেটে দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা’। গতকাল রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ২১ হাজারের বেশি, ১৯জনের মৃত্যু। কলকাতায় একদিনে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৬৫৬৫, ৬জনের মৃত্যু। চিকিৎসকদের মত, কলকাতাকে ভরকেন্দ্র করে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। ৩২ শতাংশ পজিটিভিটি রেট নিয়ে দেশে এখন শীর্ষে বাংলা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এমনটাই চলতে থাকলে সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠবে।  


আরও পড়ুন: Coronavirus: 'এমন দিন আসছে নেগেটিভরা বাড়িতে থাকবেন, পজিটিভরা মাস্ক পরে ঘুরবেন', আশঙ্কা চিকিৎসকের