প্রকাশ সিনহা, বিজেন্দ্র সিংহ, সন্দীপ সরকার, কলকাতা: সিবিআইয়ের পরে এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গরুপাচার মামলায় এবার ইডির নজরে অনুব্রতর সম্পত্তি। সিবিআইয়ের পরে এবার অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে তলব করল ইডি।    


দিল্লিতে তলব:
২ নভেম্বর দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে সুকন্যা মণ্ডলকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ওইদিনই অনুব্রতর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারিকেও তলব করা হয়েছে। যাবতীয় নথি নিয়ে মণীশ কোঠারিকে তলব ইডির।


বর্তমানে দিল্লিতে ইডির হেফাজতে আছেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। শুক্রবারই তাঁকে আরও ৮ দিনের জন্য হেফাজতে পেয়েছে ইডি। এরই মধ্যে দিল্লিতে তলব করা হল সুকন্যা মণ্ডলকে। অনুব্রত মণ্ডলের কন্যার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কোথা থেকে এল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চান ইডির তদন্তকারী। সূত্রের দাবি এর আগে, সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদে সুকন্যা বলেছিলেন, 'যা জানার তা জানেন হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি।'


হেফাজতে সায়গল:
শুক্রবার, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসনকে আদালতে পেশ করে ইডির আইনজীবী বলেন, 'তদন্তে নতুন তথ্য হাতে এসেছে। সায়গল হোসেনের মা-স্ত্রী ও শ্যালককে তলব করা হয়েছে। তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই। তাঁরা আসেননি। ফের তাঁদের তলব করা হয়েছে।' ইডির আইনজীবী আরও বলেন, 'বিদ্যুৎবরণ গায়েন ও মণীশ কোঠারি-সহ অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ ৮ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা কোথায় গেছে, আমরা তা খুঁজে বের করতে চাই।' পাল্টা, অনুব্রতর দেহরক্ষীর আইনজীবী বলেন, সায়গলকে চাপ দিয়ে কিছু নাম বলানোর চেষ্টা করছে ইডি। যাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলা হচ্ছে, তাঁদের তো কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এখানে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার কী আছে?' এরপর ইডির আইনজীবী বলেন, 'কোনও থার্ড ডিগ্রি অত্যাচার করা হচ্ছে না। প্রতিদিনের মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হয়েছে।' দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পর, সায়গল হোসেনের ৮ দিনের ED হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।


আগে যা হয়েছে:
গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চেয়ে আগেই আবেদন জানিয়েছিল ইডি। তাতে সায় দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান সায়গল। যদিও সেখানেও ধাক্কা খেতে হয় তাঁকে।  ফলে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইডি-র অসুবিধা হয়নি। 


আরও পড়ুন:  'রাজ্যকে ঋণ দেবেন না, ঋণ দিলে অপব্যবহার হবে', কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে আবেদন শুভেন্দুর