কলকাতা: গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ অনুব্রত (Anubrata Mondal)। প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ অনুব্রতর আইনজীবীর। মামলা দায়েরের অনুমতি প্রধান বিচারপতির, শুনানি শীঘ্রই। ৭ মার্চ অনুব্রতকে(Anubrata Mondal) চতুর্থ নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই (CBI)। সিঙ্গল বেঞ্চের দ্বারস্থ হলে শুক্রবার অনুব্রতর আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 


তিনবার নোটিস পাঠানোর পরও হাজির না হওয়ায়, গরুপাচার মামলায় চতুর্থবার বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে তলব করে সিবিআই। আজই নিজাম প্যালেসে তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। সিবিআই সূত্রে খবর, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যের বিষয়ে তাঁকে সমন পাঠানো হয়। তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করতে পারে, এই আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু গত সপ্তাহে অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্ট। শুনানিতে আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই বলে জানান বিচারপতি। শুধু তাই নয়, আদালতের পরামর্শ, চাইলে আগাম জামিনের আর্জি জানাতে পারেন আবেদনকারী।


শুক্রবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে হয় শুনানি। গ্রেফতারির আশঙ্কা প্রকাশ করে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী, প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, সিবিআইয়ের নোটিসের ঘনঘটা দেখেই তাদের উদ্দেশ্য বোঝা যায়। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা তখন বলেন, এই মামলায় আবেদনকারীর আশঙ্কার কোনও কারণ আছে বলে আদালত দেখতে পাচ্ছে না। অনুব্রতকে সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সিবিআই-এর হাত আদালত কেন বেঁধে দেবে? প্রশ্ন করেন বিচারপতি মান্থা। বারবার কেন আদালত এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।


পাশাপাশি গত সপ্তাহে আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থার কথা জানান তাঁর আইনজীবী।  অনুব্রত মণ্ডলকে বাড়ির কাছে কোথাও কিংবা ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য  আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। পাশাপাশি দাবি করা হয়, গত ডিসেম্বর থেকে দোসরা মার্চ পর্যন্ত বোলপুরের বাইরে যাননি অনুব্রত মণ্ডল।  সিবিআইয়ের আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু পাল্টা দাবি করেন, বোলপুরের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় অনুব্রত মণ্ডল যাচ্ছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগদান করছেন। শুধু সিবিআই সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ডাকলেই অনুব্রত মন্তব্য অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর, বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, গৃহবন্দি থাকার মতো অবস্থা তাঁর (অনুব্রত) নয় বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছে আদালত। রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষের মুখেও পড়েন অনুব্রত মণ্ডল।


আরও পড়ুন: Jhalda Murder Update: ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলরকে খুন, আটক মৃতের দাদা