সুকান্ত মুখোপাধ্যায় এবং ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বোলপুর: গরু পাচার মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে বোলপুরের ভোলে ব্যোম রাইস মিল। এটি অনুব্রত মন্ডলের একটি সম্পত্তি বলে স্থানীয়দের দাবি। ২০১১ সালের কিছু পরে এটি অনুব্রত কিনে নেন বলে সূত্রের খবর। সেই বিষয়েই তল্লাশির জন্য শুক্রবার সকালে ওই রাইস মিলে এসে পৌঁছয় সিবিআইয়ের দল। সেখানে তাঁদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। রাইস মিলের নিরাপত্তারক্ষীরা ঢুকতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। একাধিকবার সিবিআই আধিকারিকরা রাইস মিলের কর্মীদের ডাকাডাকি করা হলেও সাড়া মেলেনি বলে দাবি। 


তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ:
সূত্রের দাবি, রাইস মিলের কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে তাদের কাছে রাইস মিলে তল্লাশি চালানোর বিষয়ে কোনও তথ্য নেই, কোনও নির্দেশও নেই। সেই কারণেই সিবিআই তদন্তকারী দলকে রাইস মিলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরেই ওই রাইস মিলে উৎপাদনের কাজ বন্ধ রয়েছে দাবি। বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে একের পর এক লরি। এদিন রাইস মিলের অন্য একটি গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন, তারপরেও তাঁদের বাঁধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 


২০১১ সালে এটি কিনে নেয় অনুব্রত মণ্ডলের পরিবার। নামও পরিবর্তন হয়। এখন সেই রাইস মিলের অংশীদার হিসেবে নাম রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী ও মেয়ের নাম। ভোলে ব্যোম রাইস মিল অনুব্রত মণ্ডলের, দাবি স্থানীয়দের। তবে বেশিরভাগই মুখ খুলতে চাইছেন না। জিগ্যেস করলে উত্তর আসছে, 'জানি না, বলা যাবে না।'  সূত্রের খবর ২০১১ সালের আগে অবধি রাইস মিলের মালিকানা ছিল অন্য কারও হাতে। পরে তা অনুব্রত মণ্ডল কিনে নেন। এর অংশীদার হন ছবি মণ্ডল, যিনি অনুব্রত মণ্ডলের প্রয়াত স্ত্রী। বাকি ৫০ শতাংশ মালিকানা অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার। সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলতে বুধবারই তাঁদের বাড়ি গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু কথা বলতে চাননি সুকন্যা। তাঁর বাবা সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন, মা মারা গিয়েছেন তাই তিনি কথা বলার মতো মানসিক পরিস্থিতিতে নেই বলেদাবি করেন। এরপরেই ফিরে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। একই দিনে বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির কাছে একটি ব্যাঙ্কেও যায় সিবিআই। সেখানে বেশ কিছু তথ্যের খোঁজ করেন তাঁরা।

আরও পড়ুন:  বোলপুরের রাইস মিলের মধ্যে সার সার এসইউভি ! আর কী আছে সেখানে ?