বিজেন্দ্র সিংহ, নয়া দিল্লি: ফের জেল হেফাজত গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের। সায়গলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। সায়গলকে তিহার জেলে স্থানান্তরিত করা হবে। ২২ অক্টোবর অনুব্রতর দেহরক্ষীকে আসানসোল জেল থেকে দিল্লিতে আনা হয়।


তিহারে নেওয়া হবে সায়গলকে:
এদিনই বিকালে প্রিজন ভ্যানে তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হবে সায়গল হোসেনকে। আদালতে ইডির তরফে সওয়াল করা হয় যাতে সায়গলকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। তার বিরোধিতা করেন সায়গলের আইনজীবীরা। তাঁরা দাবি করেন, সায়গলকে যেন পশ্চিমবঙ্গের কোনও জেলে পাঠানো হয়। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। তারপরেই আইনজীবীরা কথা বলেন সায়গল হোসেনের সঙ্গে। পাশাপাশি, তিহারে নিয়ে যাওয়ার আগেই যেন সায়গলকে লাঞ্চ দেওয়া হয়, এমন আবেদনও করা হয়। ইডির তরফে জানানো হয়, সায়গলকে তিহার নিয়ে যাওয়ার আগেই লাঞ্চ দেওয়া হবে।    


অনুব্রত কন্যাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ:
আজ ফের দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হল। এই নিয়ে তিনদিন ইডির দফতরে হাজিরা অনুব্রত কন্যার। প্রথমদিন তাঁকে ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দ্বিতীয়দিন করা হয় ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ। ইডি সূত্রে খবর, মূলত সম্পত্তির টাকার উত্‍স নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত কন্যাকে।  
অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়েও সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আজ ইডি দফতরে ডাকা হয়েছে অনুব্রতর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট মনীশ কোঠারি ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা রাজীব ভট্টাচার্যকে। 

নজর লটারিতে:
অনুব্রত মণ্ডলের লটারি পাওয়ার তদন্তে শুক্রবার বীরভূমের বোলপুরে লটারির দোকানে গেলেন সিবিআই অফিসাররা। তাঁরা কিছুক্ষণ দোকানের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের লটারির পুরস্কার সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয়। দোকানের কর্মীরা জানান, দেখে বলতে হবে। এরপরই দোকানের কর্মীদের নথি নিয়ে আজ বোলপুরের ক্যাম্প অফিসে আসতে বলে সিবিআই। ২০২১ সালে অনুব্রত লটারি জিতে ১ কোটি টাকা পেয়েছিলেন।  


আরও পড়ুন: এবার খাস কলকাতার বুকে উদ্ধার অস্ত্র, বাজেয়াপ্ত জাল নোটও