কলকাতা: আজ তৃণমূলে (TMC) খড়গপুরের (Kharagpur) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই (CPI) কাউন্সিলর যোগ দিলেন। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) উপস্থিতিতে এদিন ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন সিপিআই কাউন্সিলর নার্গিস পারভিন। সিপিআই কাউন্সিলরের এই দলবদল নিয়ে কুণাল ঘোষ সাফ জানিয়েছেন যে বাংলায় তৃণমূল ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।
এদিন তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘যাঁরা দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে লড়েছেন। তাঁদের জন্য দল আগেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। বাংলায় তৃণমূল ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। বাংলায় নির্বিঘ্নে ভোট হয়েছে, খড়গপুর তার প্রমাণ। নার্গিস পারভিন বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। ৫ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন নার্গিস। ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে কাউকে ছাড়া হবে না। মাস্টারমাইন্ড কে ? তৃণমূল কংগ্রেসকে কে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছে ? নেপথ্যে রয়েছে বিরোধীরা।'
পাশাপাশি ঝালদার ঘটনা নিয়ে কংগ্রেসের সিবিআই তদন্তের দাবির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অধীর বলেন, " অধীর চৌধুরী সিবিআই চাইছেন, সনিয়া টেবিল চাপড়ে সমর্থন করছেন। যখন চিদম্বরমের বাড়ি সিবিআই যাবে, তখন সনিয়া টেবিল চাপড়াবেন তো ? যখন গাঁধী পরিবার, চিদম্বরম, কংগ্রেস নেতাদের বাড়িতে সিবিআই যায়। তখন খুব আনন্দ হয়। অধীরকে সংসদে বলার সুযোগ করে দিয়েছে বিজেপি। রাতারাতি সময় দিয়ে অধীরকে বলার সুযোগ করে দিয়েছে বিজেপি’।
আরও পড়ুন, যুদ্ধের মর্মান্তিক জের, ইউক্রেনে প্রতি মিনিটে গৃহহারা একজন করে শিশু
এদিকে, রাজ্যে দুই কাউন্সিলরের খুনের পর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য। সোমবারও নবান্নে এই নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা, ডিআইজি-সিআইডির কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এবার রাজ্যের পরিস্থিতি থেকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক, এবার তা মানলেন মুখ্যসচিব, এমনটাই খবর সূত্রের।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় গণ্ডগোল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধীরা। অশান্তির ঘটনায় রং না দেখে পদক্ষেপ নিতে হবে’। এরপর প্রশাসনিক বৈঠকের পরে ফুরফুরা শরিফের পিরজাদার সঙ্গে বৈঠকও হয়। সেখানে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শেষ দেখে ছাড়ব, কেউ ছাড়া পাবে না, সবাই শাস্তি পাবে। এমনই আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি কাসেম সিদ্দিকির।