কলকাতা: সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফলে মনের বল ফিরে এসেছে। বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর জয় উৎসাহ জুগিয়েছে। সেই আবহেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল সিপিএম। প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে প্রাধান্য দেওয়া থেকে বৃহত্তর জোটের ভাবনা, আলোচনা হল সব কিছু নিয়ে। 


সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হল


পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক হল বুধবার। সেখানেই এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে। প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব।


এর পাশাপাশি, এলাকায় ঘুরে ঘুরে জনসংযোগ গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেই স্বচ্ছ  ভাবমূর্তির প্রার্থী চূড়ান্ত করতে হবে। কোন কোন আসনে সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে, চিহ্নিত করতে হবে সেগুলিকে। এলাকা ভিত্তিক তো বটেই, প্রয়োজনে বৃহত্তর জোটের ভাবনাও রয়েছে সিপিএম নেতৃত্বের ভাবনায়।


আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: ইশারোঁ ইশারোঁ মেঁ...বুকে হৃদয় এঁকে দেখালেন পার্থ, মুচকি হেসে জবাব দিলেন অর্পিতাও!


পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ইতিমধ্যেই জায়গায় জায়গায় সভা শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। দু'দিন আগেই দলের ট্যুইটার হ্যান্ডলে সে কথা জানানো হয়েছিল। তাতে এগরায় দলের কর্মীদের উদ্দেশে সভা থেকে ভাষণ দিতে দেখা যায় সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে। বনহুগলিতে আলাদা সভা করেন সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও। সেখান থেকে তৃণমূল এবং বিজেপি-র বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে একজোট হতে আহ্বান জানান তাঁরা। 


দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জনমত তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সিপিএম


ওই একই দিনে, মালদা জেলা কমিটির সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন সেলিম। জেলা নেতৃত্বেও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। ওই সভায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের পাশাপাশি দলের কাজকর্ম নিয়েও বিশদ আলোচনা হয়। একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতেও তৎপরতা শুরু হয়েছে। দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জনমত তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সিপিএম। বিজেপি-র বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধেও চলছে প্রচার।


উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপি-কে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। জোটশর্ত মেনে তাঁকে সমর্থন করেছিলেন বামেরাও। তাতে রাজ্যে শূন্য হয়ে যাওয়া কংগ্রেস ফের বিধানসভায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। বায়রনের এই জয়ই আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছে বাম এবং কংগ্রেসকে। পঞ্চােত নির্বাচনের আগে তাই নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দুই দলই।