উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: বিজেপি-বিরোধী জোট জলে। তবে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্য়ে দূরত্ব যখন বাড়ছে, তখন বাংলায় যত দ্রুত সম্ভব, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে তৎপর সিপিএম (CPM Alliance With Congress)। ফেব্রুয়ারির মধ্য়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জোট এবং আসন সমঝোতা সেরে ফেলতে চাইছে তারা। যাতে প্রচারের জন্য় পর্যাপ্ত পাওয়া যায়। যদিও, সিপিএম-কংগ্রেসের জোটকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল।
কয়েকমাস আগেও বিজেপি-বিরোধী INDIA-র মঞ্চে সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধীর পাশে দেখা গেছিল মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে। কিন্তু, লোকসভা ভোট আসতে আসতে, আমূল বদলাতে শুরু করেছে ছবিটা। এখন কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। আর সেই মন্তব্য়কে হাতিয়ার করেই, কংগ্রেসকে বিঁধছেন নরেন্দ্র মোদি। কখনও বাংলায় ইন্ডিয়া জোট ভাঙার জন্য় অধীর চৌধুরী, কখনও সিপিএমকে দায়ী করছে তৃণমূল। স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী বলেছেন, “কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভাল ছিল, যদি কেউ খারাপ করে থাকে, তার নাম সিপিএম পার্টি।’’ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেছিলেন, “গত সাত মাসে দেখুন, কংগ্রেস কত বার মমতা, তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে আর কত বার বিজেপিকে করেছে!কংগ্রেসের প্রদেশ নেতৃত্ব বলছে, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করুন। কেন্দ্রের হাতে সব কিছু চলে গেলে কার লাভ? বিজেপির লাভ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি যখন বিজেপির লাভের কথা বলছেন তখন বিজেপির ট্রোজ়েন হর্স কে?’’
জোট প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে তৎপর: তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব যত কংগ্রেস ও সিপিএমকে আক্রমণ করছে, ততই বাংলায় কাছাকাছি আসছে বাম-কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের খবর, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যত দ্রুত সম্ভব আনুষ্ঠানিক সিলমোহর দিতে চাইছে সিপিএম। ফেব্রুয়ারির মধ্য়েই জোট প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ করে ফেলতে চাইছে তারা।আলিমুদ্দিন মনে করছে, প্রতিবারই জোট চূড়ান্ত করে, আসন সমঝোতা শেষ করতে করতে প্রায় ভোট চলে আসে। তাতে আর ভাল করে প্রচারের সময় পাওয়া যায় না। জোটের বিষয়টা মানুষের কাছে সেভাবে পৌঁছে দেওয়াই সম্ভব হয় না। তাই এবার লোকসভা ভোটের আগে আর সেই দেরি চাইছে না সিপিএম।
২০১৯ সালে, আসন রফা নিয়ে জটিলতার কারণে সিপিএম-কংগ্রেসের জোট ভেস্তে গেছিল। এবার অবশ্য় আসন রফার আলোচনা অনেকটাই এগিয়ে গেছে। সূত্রের খবর, দক্ষিণবঙ্গ নিয়ে বিশেষ জটিলতা নেই। বামেরা মালদা ও মুর্শিদাবাদের একটি করে আসন চেয়েছে। যা নিয়ে আলোচনা চলছে। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “আমরা বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী শক্তিকে ঐক্য়বদ্ধ করতে চাই। যত দ্রুত সম্ভব এই প্রক্রিয়া মিটিয়ে ফেলতে চাই।’’ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ও লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, “সেলিম, সুজন এসেছিলেন। রাহুলের সঙ্গে কথা হয়েছে। দিল্লি দেখছে।’’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Birbhum News:'সরাসরি তিন-চারতলায় উঠেছেন কাজল শেখ' ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য বিদায়ী জেলাশাসকের