কলকাতা: অসুস্থ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। সোমবার রাতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন শেক্সপিয়র সরণির বেসরকারি হাসপাতালে। তিনদিন ধরে জ্বর রয়েছে তাঁর শরীরে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞর অধীনে কেবিনে চিকিৎসাধীন বিমান বসু। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। (Biman Bose Hospitalised)
জানা গিয়েছে, তিন দিন আগে জ্বর এসেছিল বর্ষীয়ান সিপিএম নেতার, সর্দি-কাশিও হয়। সেই জ্বর না নামাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কোনও সংক্রমণ থেকে জ্বর হয়েছে কি না, পরীক্ষা করে দেখা হবে। তবে আপাতত স্থিতিশীল রয়ছেন বিমান। সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, তিন দিন ধরে জ্বর। জ্বর না নামাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ কিছু পরীক্ষা হবে বিমানের। দুপুরে চিকিৎসকরা সব দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন, কী ভাবে চলবে চিকিৎসা। (Biman Bose News)
শরীরে জ্বর নিয়েই উত্তরবঙ্গে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন বিমান। সোমবার রাতে কলকাতায় ফিরতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তাঁর শ্বাসকষ্টও হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। কবে বিমানকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে, এখনও পর্যন্ত তা জানা যায়নি। তবে বর্ষীয়ান নেতার অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন দলের কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁর সুস্থতা কামনা করছেন সকলেই।
৮৪ বছর বয়সেও রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন বিমান। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি, দলীয় কর্মসূচিতেও নিয়মিত দেখা যায় তাঁকে। একদিন আগেও, অসুস্থ শরীরে বক্তৃতা করতে শোনা যায়। মানুষের কাছে যেতে, মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে বলে নেতা-কর্মীদের বার্তা দেন তিনি। অনেকে দলে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও, দলের সর্বক্ষণের কর্মী হতে দ্বিধা রয়ে যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই মুহূর্তে সর্বক্ষণের কর্মী অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।
এহেন বিমানের স্বাস্থ্য নিয়ে যারপরনাই উদ্বিগ্ন দলীয় কর্মী, সমর্থক এবং অনুগামীরা। কারণ গত কয়েক মাসে পর পর ধাক্কা খেয়েছে বাম শিবির। গত ৮ অগাস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেই ধাক্কা সামলানোর আগেই ১২ সেপ্টেম্বর মারা যান সীতারাম ইয়েচুরি। জাতীয় স্তরে বেশ কিছু বছর ধরে লালপতাকার ধারক বাহকের ভূমিকা পালন করছিলেন তিনি। BJP বিরোধী I.N.D.I.A শিবিরে বামেদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছিলেন সীতারামই। সেই আবহে বিমান অসুস্থ হয়ে পড়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তিনি সুস্থ হয়ে আবার কাজে ফিরুন, কামনা করছেন সকলে।