কাকদ্বীপ : ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন কাকদ্বীপের বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এমনকী সিসি ক্যামেরার ফুটেজও ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ঘরে ঢুকে মারধর করার ফুটেজ ডিলিট করা হয়েছে বলে দাবি আক্রান্ত শিক্ষকের। মারধরের জেরে আতঙ্কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। অভিযুক্তর বাড়ি স্কুলের পাশেই, তাই স্কুলে এসেও ভয় কাটছে না তাঁর। স্কুলের ঘরে ঢুকে শাসক নেতা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের। কাকদ্বীপের স্কুলে তৃণমূল নেতার এহেন গুন্ডাগিরির ঘটনায় রাজ্যে শোরগোল পড়ে গেছে। আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা।
এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, "তৃণমূলকে যতদিন না বাংলার মানুষ বাংলা থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে, ততদিন ধরে তৃণমূল নেতারা এভাবে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে শিক্ষককে বের করাটা চালিয়ে যাবেন। এটা নিয়ে আক্ষেপ করা যেতে পারে, কিন্তু পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হবে না। পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ হয় না, শিক্ষক নিগ্রহ হয়। গত ১৪ বছর ধরে এটাই আমরা দেখছি। আরাবুল শিক্ষককে জগ ছুড়ে মারছে। ১৪ বছরে ক্যাম্পাসে কত শিক্ষককে আমরা মার খাওয়া দেখলাম, তা নিয়ে বই লেখা হয়ে যাবে। না মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা আছে, না কোনও অনুশোচনা।"
ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছিল ? যা জানালেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলনকান্তি পাল বলেন, "বিষয়টা হল শিক্ষামূলক ভ্রমণ ঘিরে। পাশাপাশি দুটি স্কুলের শিক্ষামূলক ভ্রমণ হচ্ছে। আমি বললাম নিশ্চয়ই হবে, বায়োলজি এবং জিওগ্রাফির উপরে হবে। বিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট তিনি কিন্তু চাইছিলেন না, এই ট্যুরটা হোক। ট্যুরটা যদি হয় তাহলে নভেম্বর মাসে। কেন তাঁর নিজস্ব কী ব্যক্তিগত স্বার্থ রয়েছে জানি না। ট্যুর সম্পর্কে মিথ্যা কথা লিখে, আমার সম্বন্ধে অভিযোগ করে, তাঁরই সই ...প্রেসিডেন্ট আমাকে দিয়ে বলছেন, রিসিভ করে নিন। তখন আমি বললাম, এ তো সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমি রিসিভ করতে পারব না। তখন বলেন, কেন করবেন না ? অবশ্যই করতে হবে। জোর-জবরদস্তি করা শুরু করেন। এরপর ধাক্কা মারতে মারতে বারান্দ দিয়ে গেছেন..এই করিডর দিয়ে। আমি একটু আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছিলাম। ধাক্কা মেরে রাস্তার উপরে এসডিপিও অফিসের সামনে...তিনি এবার তিনি গ্রিলটা লাগিয়ে দিলেন।" Shatarup Ghosh