কলকাতা: শেষ হল তন্ময় ভট্টাচার্যের (Tanmay Bhattacharya) সাসপেনশনের মেয়াদ। মহিলা সাংবাদিককের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে তন্ময়ের বিরুদ্ধে। ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয় প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ককে। শেষ হল সেই মেয়াদ।
মহিলা সাংবাদিককে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল সিপিএম। ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা তাঁকে। সেই সাসপেনশনের মেয়াদ শেষ হল। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, ফিরিয়ে দেওয়া হল তন্ময়ের পার্টি সদস্যপদ। সাসপেনশন প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়েছে তন্ময়কে। দলীয় নেতৃত্ব সূত্রে খবর, আচরণবিধির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে তন্ময় ভট্টাচার্যকে।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছিল?
গত বছর ২৭ অক্টোবর সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন এক মহিলা সাংবাদিক। তিনি অভিযোগ করেন, ওইদিন তিনি তন্ময় ভট্টাচার্যর বাড়িতে সাক্ষাৎকার নিতে যান। তখনই তাঁর শ্লীলতাহানি করেন ওই সিপিএম নেতা। বর্ষীয়ান সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভও করেন তিনি। অভিযোগকারী সাংবাদিক বলেন, "ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে গায়ে হাত দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এর আগেও অনেকবার হয়েছে। ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে হাতে হাত দিয়েছেন। ওঁর আচরণ ভাল লাগেনি। কিন্তু আজ যা ঘটল, আমার ক্যামেরা পার্সন ঠিক করে দেয়, কে কোথায় বসবে। ফ্রেমটা কী হবে। প্রত্যেকবার এরকম করেন কোথায় বসব? এখানে বসব? সরে সরে আসেন। তারপরও ইন্টারভিউ নিই। নেওয়ার আগে উনি যখন আমার কোলে বসে পড়েন। তখন বলি এগুলো করবেন না, আমি পছন্দ করি না। আপনি ইয়ার্কি করেন, ঠিক আছে। কিন্তু এগুলো করবেন না। রীতিমতো কোলে বসে পড়েন।''
এরপরই নড়েচড়ে বসে সিপিএম। একবার নয়, দুবার সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। এই অভিযোগ ওঠার পর, প্রেস বিবৃতি দিয়ে সিপিএম জানায়, তন্ময় ভট্টাচার্য সম্পর্কে মহিলা সাংবাদিকের অভিযোগ, জনমানসে পার্টির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করে তন্ময় ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করা হয়। এরপর সিপিএম নেতাকে ডেকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে বরানগর থানাও। ঘটনার প্রায় দেড়মাস পর গত বছর ডিসেম্বর মাসে সাসপেনশেন তুলে নেয় আলিমুদ্দিন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি, শাস্তির মুখে পড়তেই হয়। ডিসেম্বর মাসে ফের তাঁকে সাসপেন্ড করে দল। দলীয় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দেখার পর ফের তন্ময় ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করে সিপিএম। অবশেষে শেষ হল সেই সাসপেনশনের মেয়াদ।