কলকাতা: অশান্তির আশঙ্কা থেকে ছবি নিষিদ্ধ করা যায় না বলে জানিয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বাংলায় 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে দিয়েছে স্থগিতাদেশ। তাতে দেশের শীর্ষ আদালতে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়ল বলেই মনে করছে সিপিএম। তাদের দাবি, ছবিটি ক্ষতিকর উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হলেও শিল্পকর্মকে নিষিদ্ধ করার বিরোধী তারা (CPM)। 


সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাল CPM


সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই বৃহস্পতিবার এবিপি আনন্দে মুখ খোলেন সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। সেখানে ছবিটির সমালোচনা করলেও, রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন তিনি। স্বাগত জানান সুপ্রিম কোর্টের রায়কে। এ দিন তন্ময় বলেন, "দ্য কেরালা স্টোরি ছবিটি ছত্রে ছত্রে মিথ্যায় ভরা। বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার সংগঠিত করতে, ধর্মীয় দাঙ্গা এবং বিদ্বেষের পরিবেশ তৈরি করার জব্যই ছবিটি নির্মিত। তা সত্ত্বেও যে কোনও শিল্পকর্মকে নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে আমরা। আগেও তা বলেছি।"


বাংলায় ছবিটি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন তন্ময়। তিনি বলেন, "আজকের প্রযুক্তির যুগে ছবি নিষিদ্ধ করার কোনও অর্থ হয় না। আগ বাড়িয়ে ছবিটি নিষিদ্ধ করতে গিয়ে মুখ পুড়িয়েছে রাজ্য সরকার। এটাই স্বাভাবিক ছিল। আগ বাড়িয়ে এই অতি বিপ্লবীপনা দেখানোর কোনও প্রয়োজন ছিল না রাজ্য সরকারের। আসলে ছবিটিকে নেগেটিভ প্রচার পাইয়ে দিতে চেয়েছিল। তাদের সেই উদ্দেশ্য ব্যর্থ হল। এতে অখুশি হওয়ার কোনও কারণ নেই।"


আরও পড়ুন: The Kerala Story: 'মগের মুলুক চলছে, সপাটে থাপ্পড় পড়ল', 'দ্য কেরালা স্টোরি' নিয়ে সুপ্রিম-রায়ে প্রতিক্রিয়া রুদ্রনীলের


ছবি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই ৮ মে 'দ্য কেরালা স্টোরি'র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। ছবিতে অসত্য দেখানো হয়েছে, তথ্য বিকৃত করে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে রাজ্য। শুধু তাই নয়, এই ছবিতে অশান্তি বাধানোর সবরকম ইন্ধন রয়েছে বলেও যুক্তি দেয় রাজ্য। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবিটির প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেন।


রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যান পরিচালক-প্রযোজক


সেই নিয়ে জোর বিতর্ক বাধে। পরিচালক সুদীপ্ত সেন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। তার পর রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যান তিনি। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। অন্য কোনও রাজ্যে 'দ্য কেরালা স্টোরি' দেখানোয় যদি অশান্তি না বেধে থাকে, তাহলে বাংলায় কেন বাধবে বলে প্রশ্ন তোলে আদালত।