কলকাতা: ন্যায্য মূল্যে বণ্টন করতে হবে রেশন সামগ্রী। সাধারণ মানুষকে কম দামে দিতে হবে কেরোসিন তেল। এমনই নানা দাবিতে এবং গণবণ্টন ব্যবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগে প্রতিবাদ কর্মসূচি সিপিএমের মহিলা সংগঠনের। খাদ্য ভবনের সামনে আজ বিক্ষোভ দেখান সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্র ও রাজ্য- কেউই গণবণ্টন ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। প্রতিবাদে খাদ্য দফতরে দেওয়া হয় ডেপুটেশন। সংগঠনের হুমকি, দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে শুরু হবে বড়সড় আন্দোলন।


বিকাশ ভবনের সামনে থেকে মিছিল: তৃণমূলের প্রতিবাদ এবার ইডি-সিবিআইয়ের দফতরে। এদিন বিকাশ ভবনের সামনে থেকে মিছিল করে আসেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। মোদি-শাহ ভাই ভাই, ইডি আর সিবিআই, এই স্লোগান দিতে দিতে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকে পড়েন তাঁরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী বাধা দেওয়ায় সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরে বসে পড়েন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান তাঁরা। 


উত্তাল কলেজস্ট্রিট চত্বর: DSO’র বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল কলেজস্ট্রিট চত্বর। পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন বিক্ষোভকারীরা। বচসা, হাতাহাতি, বাদ রইল না কিছুই। আটক করা হয়েছে অনেককে। অন্যদিকে, DSO’র ডাকা ধর্মঘটে কোচবিহার জেলায় বেশিরভাগ স্কুলই এদিন বন্ধ ছিল। উত্তরবঙ্গে গ্রেফতারি তার প্রতিবাদে তুলকালাম দক্ষিণে! SUCI-এর ছাত্র সংগঠন DSO-র বিক্ষোভে মঙ্গলবার এভাবেই উত্তাল হয়ে উঠল কলেজস্ট্রিট চত্বর। 


পথে নামছে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস: উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ থেকে রান্নার গ্যাসের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে পথে নামছে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় হবে মিছিল। বিলকিসকাণ্ডে ১১ অপরাধীকে মুক্ত করার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ দেখাবে তৃণমূল। যদিও এ নিয়ে কটাক্ষের সুর বিজেপির গলায়।


বারাসাতে (Barasat) বিজেপি (BJP)। নিমতৌড়িতে বামেরা (CPM)। বিরোধী শিবিরের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজ্যের (West Bengal) দুই প্রান্ত। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘাতে বাঁধল ধুন্ধুমার। ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জ, জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, বাদ রইল না কিছুই!


অনুদান বিতর্ক: রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিংহের কথায়, এতগুলো ক্লাবকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে, অথচ আমাদের বকেয়া ডিএ দিচ্ছে না। রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA বকেয়া। তারই মধ্যে সরকারের পুজোর অনুদান ৫০ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। অনুদান পাবে ৪৩ হাজার পুজো কমিটি।