কলকাতা: বামশিবিরে প্রবীণদের ভিড় নিয়ে যখন কটাক্ষ ছুড়ে চলেছেন নিন্দুকেরা, সেই সময়, সেই সময় তরুণ নেতা হিসেবে দলকে অক্সিজেন জুগিয়েছিলেন তাঁর মতো জনা কয়েক নেতা। দলের কনিষ্ঠতম সদস্য হিসেবে পেয়ে গিয়েছিলেন নির্বাচনী টিকিটও। তার পর গঙ্গাপাড় দিয়ে না জানি কত জল বয়ে গিয়েছে। ২০১১ সালে বামদুর্গ ভেঙে দেওয়ার পর টানা ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। কিন্তু দল ক্ষমতায় না থাকলেও, তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি এতটুকু। ছাত্রযুব থেকে কলেজমুখী তরুণীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন সিপিএম-এর (CPM) যুবনেতা শতরূপ ঘোষ (Shatarup Ghosh)। এ বার বিবাহ সারলেন  তিনি।


বিয়ে সারলেন সিপিএম-এর যুব নেতা শতরূপ ঘোষ


রবিবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন শতরূপ। পাত্রী পহেলি সাহা (Paheli Saha)। কিন্তু ছাত্রনেতার সঙ্গে এমনি এমনি মনের মিল হয়নি। নিজেও একসময় চুটিয়ে ছাত্র রাজনীতি করেছেন পহেলি। পরবর্তী কালে কর্পোরেট জগতে চাকরি নেন। একটি প্রযোজনা সংস্থায় কাজের দরুণ টলিউডেও পরিচিতি রয়েছে। পরিচয় থেকে পরিণয়, বেশ কয়েক বছর ধরেই পাশাপাশি রয়েছেন শতরূপ এবং পহেলি। এ বার ভবিষ্যতের পথেও একসঙ্গে যাত্রা শুরু করলেন তাঁরা।


রবিবার শতরূপ এবং পহেলির চারহাত এক হয়েছে। বামপন্থী আদর্শে দীক্ষিত তাঁরা। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান নয়, আইনি সিলমোহর সহযোগে রেজিস্ট্রি বিয়ে সেরেছেন। সেখানে নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে যান রাজনীতি থেকে বিনোদন জগতের বহু চেনা ব্যক্তিত্ব।



আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ভূপতিনগরে এনআইএ চেয়ে শাহকে চিঠি শুভেন্দুর, এই কি ডিসেম্বর-চক্রান্ত! প্রশ্ন তৃণমূলের


অতিথি তালিকায় সবার আগে নজর কেড়েছেন ছোটপর্দার ‘জুন আন্টি’ ঊষসী চক্রবর্তী। প্রয়াত রাজনীতিক শ্যামল চক্রবর্তীর কন্যা ঊষসী। শতরূপের তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু। শতরূপের বিয়ের দিন যত এগিয়ে আসতে থাকে, ততই উৎসাহিত হতে দেখা যায় ঊষসীকে। একদিন আগেই ইনস্টাগ্রামে শতরূপের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন ঊষসী। শতরূপ এবং পহেলির বিয়ের কাউন্ট ডাউন শুরু বলে জানান তিনি।



রবিবার নবদম্পতির সঙ্গেও ছবি পোস্ট করেন ঊষসী। তাতে একদিকে, বেনারসি শাড়ি, সোনার গহনায় সজ্জিত পহলি, অন্য দিকে মানানসই ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত শতরূপের হাত জড়িয়ে ক্রিম এবং গোলাপি রংয়ের লেহঙ্গা পরে দেখা গিয়েছে ঊষসীকে। নবদম্পতির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ যে ছাড়তে চাননি, তার প্রমাণ ঊষসীর ইনস্টাগ্রাম ক্যাপশনই।  


কলেজ জীবন থেকে রাজনীতিতে শতরূপ, পহেলিও ছাত্র রাজনীতি করেছেন চুটিয়ে


আশুতোষ কলেজে পড়ার সময় ছাত্র রাজনীতিতে হাতেখড়ি শতরূপের। এসএফআই করেছেন দীর্ঘ দিন। ২০১১ সালে, বাম বিদায়ের বছরেই মাত্র ২৫ বছর বয়সে বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট পান। এর পর ২০১৬, ২০২১ সালেও কসবা থেকে দলের প্রার্থী হন। কোনও বার জিততে না পারলেও, রাজ্যের তরুণ রাজনীতিকদের মধ্যে অন্যতম তিনি।