মুম্বই: বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম আমির খান (Aamir Khan)। দীর্ঘ কেরিয়ারে কাজ করেছেন বহু পরিচালক, প্রযোজক এবং অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে। তাঁর কেরিয়ারও অনেক ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। কখনও ছবি হিট হয়েছে। কখনও একের পর এক ছবি হয়েছে। এমনই ওঠাপড়ার মধ্যে মহেশ ভট্টের (Mahesh Bhatt) ছবির প্রস্তাবে রাজি হননি আমির খান। তারপর কী হল? কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের স্মৃতিচারণা করলেন অভিনেতা।


কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে মহেশ ভট্টের প্রস্তাব নাকচ করেন আমির খান-


সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোর স্মৃতিচারণা করেন আমির খান। জানান, এক সময়ে তাঁর যখন একের পর এক ছবি ব্যর্থ হচ্ছে, তখন মহেশ ভট্টের প্রস্তাবে রাজি হননি তিনি। তিনি জানতেন, মহেশ ভট্ট একজন সফল পরিচালক। 'অর্থ', 'নাম' এবং আরও অনেক ছবি তিনি পরিচালনা করেছেন। যা দুর্দান্ত সাফল্য পায়। আমির জানান, যখন তাঁর কেরিয়ার ক্রমশ ডুবে যাচ্ছে, সেই সময়ই তিনি মহেশ ভট্টর কাছ থেকে ছবিতে কাজের প্রস্তাব পান। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হননি তিনি। আমির বলেন, 'আমার তখন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় চলছে। আমি বুঝতে পারছি আমি নতুন সুযোগ পেতে চলেছি। দুটো তিনটে ছবির ব্যর্থতা আমি সহ্য করে নিতে পারব। তাই আমি ওঁর (মহেশ ভট্ট) কাছে যাই। তার আগে নিজেকে কথা দিই যে, যদি আমার ছবির প্রযোজক, পরিচালক, ছবির গল্প পছন্দ না হয়, তাহলে আমি ছবিটা করব না। তাই আমি ভাট সাহেবের কাছ থেকে ঘুরে এসে রিনাকে(রিনা দত্ত। আমির খানের প্রথম স্ত্রী) বলি যে, আমি ভাট সাহেবের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কিন্তু ছবির গল্পটা আমার পছন্দ নয়।'


আরও পড়ুন - Ajay Devgn: পর্দায় নয়, বাস্তবে অজয় দেবগনের পিছনে ধাওয়া করেছেন একদল লোক! দেখুন ভিডিও


আমির খান আরও বলেন, 'আমি ওঁকে (মহেশ ভট্ট) বলি যে, আমি আমার স্বপ্নর সঙ্গে আপোশ করতে পারব না। আমি আপনাকে হ্যাঁ বলতে পারছি না। কিন্তু কে আমি যে আপনাকে না বলব। আপনি একজন অত্যন্ত সফল পরিচালক। আমি শুধু আমার অনুভূতিটা আপনাকে বলতে পারি। হতে পারে, এটা শোনার পর আপনি আমাকে আর কখনও আপনার ছবিতে কাজের সুযোগ দিলেন না। কিন্তু সত্যিই আমি দুঃখিত যে আমি এই ছবিটা করতে পারছি না। এরপর আমাদের ফের দীর্ঘ কথপোকথন হয়। তিনি আমার অনুভূতিটা বোঝেন। সত্যিই আমি কখনও আমার স্বপ্নর সঙ্গে আপোশ করিনি।' অভিনেতা জানাচ্ছেন, তিনি সেই সময়ে বুঝেছিলেন, যদি মহেশ ভট্টের ছবিতে তিনি কাজের প্রস্তাবে হ্যাঁ বলেন, তাহলে ছবিটা তৈরি হতেই ২ থেকে ৩ বছর লাগবে। আর তার জন্য দর্শকদের অনেকদিন অপেক্ষা করতে হবে। সেই কারণেই মূলত রাজি হননি আমির।