কলকাতা: বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajasekhar Mantha) বাড়িতে পোস্টারকাণ্ডে এখনও দুষ্কৃতীরা অধরা, রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) রিপোর্ট তলব প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। গত ৮ জানুয়ারি বিচারপতি রাজশাখার মান্থার যোধপুরের বাড়ির আশপাশে পোস্টার। বিচারপতির বাড়ির আশপাশে পোস্টার পরার ২ মাস পার হয়ে গেলেও এখনও দুষ্কৃতীরা অধরা। পোস্টার দিল কারা ? কোথায় ছাপানো হয়েছিল ? তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ। প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ আইনজীবী শামিম আহমেদের মামলা দায়েরের অনুমতি।
পুলিশের রিপোর্টে অসন্তোষ আগেও
প্রসঙ্গত, পোস্টারকাণ্ডর কয়েকদিন পরই গত ১৭ জানুয়ারি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলায়, বিচারপতি টি এস শিবাগননম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের বেঞ্চ পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছিল, বিচারপতির বাড়ির আশেপাশে এবং হাইকোর্ট চত্বরে লাগানো পোস্টার ছাপানোর জন্য কে বা কারা বরাত দিয়েছিল, তা খুঁজে বের করতে হবে। তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে গতমাসের শুরুতে জমা পড়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট। বিচারপতি টি এস শিবাগননাম যা নিয়ে সাফ বলেছিলেন এই রিপোর্টে আমরা সন্তুষ্ট নই। তারপর তিনি রিপোর্ট পড়ে জানান, কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের এলাকায় ২৫০টির বেশি ছাপাখানা রয়েছে। সিপি রিপোর্টে জানিয়েছেন, ৩৯টি ছাপাখানার মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিচারপতি বলেন, সিপি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, পোস্টারের কালি ও কাগজ CFSL কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু CFSL কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, পোস্টার এবং কালি থেকে ছাপাখানা শনাক্ত করার পরিকাঠামো তাদের নেই। যা নিয়ে হয় তুমুল শোরগোল। প্রসঙ্গত ৮ জানুয়ারি রাতে বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে কুরুচিকর পোস্টার দেওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে, তারপর মাস দুয়েক কেটে গেলেও, কেন কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ ? কেন সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্তদের খুঁজে বের করা যাচ্ছে না ?
আগেও উল্লেখ
কিছুদিন আগে কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করার পর সওয়াল-জবাবের মাঝেও উঠে এসেছিল পোস্টারকাণ্ডের প্রসঙ্গ। যেখানে কৌস্তভের হয়ে সওয়াল করার মাঝে আদালতে দাঁড়িয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছিলেন, মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়িতে পোস্টার দেওয়া দুস্কৃতীদের পুলিশ এতদিনেও ধরতে পারে না, আবার তারাই বাড়তি উৎসাহ-উদ্যমে কারোর বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রেক্ষিত না বুঝেই মাঝরাতে বাড়িতে গিয়ে তুলে নিয়ে আসে। গ্রেফতার করে।