রুমা পাল, কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আরও তুঙ্গে। ফের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিযোগ করলেন রাজ্যপাল। আরও ৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিযোগ করলেন সিভি আনন্দ বোস।
কোথায় কোথায় অন্তর্বতী উপাচার্য নিয়োগ:
মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হলেন অচিন্ত্য সাহা
মহাত্মা গাঁধী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হলেন বি বি পারিদা
কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায়
আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়
বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য দিলীপ মাইতি
অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সিভি আনন্দ বোসকে পাল্টা নিশানা শিক্ষামন্ত্রীর। 'সুপ্রিম কোর্টকে মানতে না চাইলে সেটা তাঁর অভিরুচি', সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন, তাও কী করে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ? প্রশ্ন ব্রাত্যর। 'পুলিশ কর্তাদের কেন উপাচার্য করা হচ্ছে? কপ ইউনিভার্সিটি', করার চেষ্টা চলছে, বোসকে আক্রমণ ব্রাত্যর
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য়পাল-রাজ্য় সরকার বেনজির সংঘাতের মধ্য়েই সার্চ কমিটি গ়ড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশ মতো, ইতিমধ্য়েই, রাজ্য় সরকার, আচার্য ও UGC- তিন পক্ষই বিশিষ্টজনদের নামের তালিকা জমা দিয়েছে। কিন্তু, স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই, ফের অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়োগ করলেন আচার্য। আরও ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করলেন সিভি আনন্দ বোস। মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে, অচিন্ত্য় সাহাকে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু বলেন, 'পুলিশ দিয়ে বিশ্ববিদ্য়ালয় চালানো যায় কিনা আমার জানা নেই। আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।' বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আচার্য অর্থাৎ রাজ্য়পাল আইনত বিশ্ববিদ্য়ালয়েরর অ্য়াক্ট অনুযায়ী উপাচার্য নিয়োগের অধিকারী। সেটা হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে কোর্টের রায় চলে এসেছে। টেম্পোরারি ভিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য়পালের সেই অধিকার আছে। স্থায়ীর ক্ষেত্রে সার্চ কমিটির সিদ্ধান্তই শেষ কথা।'
সেপ্টেম্বরের শুরুতেই, বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য়ের উপাচার্যহীন ১৬টি বিশ্ববিদ্য়ালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন সিভি আনন্দ বোস। উপাচার্যদের অনেকেই প্রাক্তন প্রশাসনিক কর্তা, অবসরপ্রাপ্ত IPS. কিন্তু এভাবে উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে রাজ্য় সরকার। বিষয়টি প্রথমে হাইকোর্ট তারপর সুপ্রিম কোর্টে যায়।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি তৈরি করে দেবে খোদ সর্বোচ্চ আদালত। তার জন্য়, রাজ্য় সরকার, আচার্য ও UGC- তিন পক্ষকেই ১০ দিনের মধ্য়ে ৫ জন করে বিশিষ্ট ব্য়ক্তির নাম পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই নির্দেশ পরিবর্তনের আর্জি জানিয়ে, বুধবার রাজ্য় সরকারের তরফে আবেদন করা হয়, রাজ্য় সরকার, রাজভবন, UGC ছাড়াও, মুখ্য়মন্ত্রী ও উচ্চশিক্ষা সংসদের প্রতিনিধিও রাখা হোক সার্চ কমিটিতে। কিন্তু এই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তিনপক্ষই আদালতে প্রতিনিধিদের নামের তালিকা জমা দিলেও, এখনও গঠিত হয়নি স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটি। তার আগেই, আচার্যের ফের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে তরজা।