অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা : ঝাড়খণ্ডে দুর্ঘটনার (Accident in Jharkhand) কবলে ১০০ দিনের কর্মীদের বাস। ওই বাসে পুরুলিয়ার (Purulia) ১০০ দিনের কর্মীরা ছিলেন, কয়েকজন সামান্য চোট পান। বাস নিয়ে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের।


জানা যাচ্ছে, ঝাড়খণ্ড থেকে যখন বাসটি বিহার সীমান্ত হয়ে ঢুকছিল, সেই সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি বাসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যদিও সেটা বড় আকার নেয়নি, এমনই খবর তৃণমূল সূত্রের। দলের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের ইতিমধ্যেই প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে। ওই বাসে পুরুলিয়ার যাত্রীরা রয়েছেন। বাসটিকে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।


সোম ও মঙ্গলবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লিতে তৃণমূলের একাধিক কর্মসূচি ! শনিবার তৃণমূলকর্মীদের নিয়ে দিল্লির পথে রওনা দিয়েছে একের পর এক বাস ! আর সেই সঙ্গেই শুরু হয়ে গেছে তপ্ত বাগযুদ্ধ !


তৃণমূল সূত্রে খবর, কলকাতা-আসানসোল-ধানবাদ-বারাণসী-কানপুর, আগরা হয়ে দিল্লি পৌঁছবে তাদের বাস-মিছিল । অর্থাৎ ঝাড়খণ্ড, বিহার , উত্তরপ্রদেশ পেরিয়ে তাদের রাজধানীতে পৌঁছোতে হবে। এর মধ্যে ৮০০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা উত্তরপ্রদেশে। এই প্রেক্ষাপটে যাত্রা শুরুর পর থেকেই হুঁশিয়ারির সুর শোনা যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের গলায় !


কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেছেন, আসানসোল পার করার পরই বিজেপি ভয় দেখাবে। উত্তরপ্রদেশ গুন্ডামির ভয় দেখাবে। কুকুর ইঁদুরের মতো বসে থাকবে। ভুলে যাচ্ছে ওখানে মারবে। তোমাদের লোকেদেরও এখানে । ওখানে মারবে এখানে শুরু হয়ে যাবে। আমরা তো জানি কাদের পিটতে হবে। 


ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, দিল্লি যাওয়া কোন তৃণমূল কর্মীর গায়ে হাত পড়লে আগুন জ্বলবে।


রওনা দেওয়ার পর গতকাল রাতে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় আসানসোলে ডুবুরডি চেক পোস্টে পৌঁছয় বাসগুলি। সেখানে দলীয় কর্মীদের জন্য রাতের খাবারের আয়োজন করে কুলটি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস  । এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে ধর্নার আগে অভিষেকের রণকৌশল-বৈঠক রয়েছে আজ। রাত ৮টায় দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদ, মন্ত্রী ও শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অভিষেক। তৃণমূলের সব সাংসদকে আজ বিকেলের মধ্যে দিল্লি পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


উল্লেখ্যা, ১০০ দিনের কাজের টাকা না পাওয়া বঞ্চিত শ্রমিক ও কর্মীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় দিল্লি-যাত্রার জন্য অল ইন্ডিয়া পারমিট থাকা আন্তঃরাজ্য স্লিপার ক্লাসের বাস নেওয়া হয়েছে।