ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: ডিজিট্যাল প্রতারণার ফাঁদ এখন দিকে দিকে। কোনও লিঙ্কে ক্লিক করাটাই যেন এখন আতঙ্ক। কীভাবে কোথায় পাতা টাকা আত্মসাৎ করে নেওয়ার জাল! ডিজিট্যাল অ্যারেস্টের আতঙ্কে বহু মানুষ ইতিমধ্যেই সব হারিয়ে কপর্দকশূন্য হয়েছেন। এবার ডিজিট্যাল প্রতারণা ট্রাফিক পুলিশের নামে। ট্রাফিক আইনভঙ্গ করলে, মেসেজ আসে গাড়ির মালিকের কাছে। জরিমানার অঙ্কও বলা থাকে। ঠিক সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে প্রতারকরা জাল পেতেছিলেন। ট্রাফিক পুলিশের পরিচয় ভাঙিয়ে আর্থিক প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল সাইবার জালিয়াতরা। আর সেই জালেই জড়িয়ে পড়লেন বেলঘরিয়ার বাসিন্দা সোমনাথ ঘোষ। ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের নাম করে প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগ করছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট।
ট্রাফিক বিধি ভাঙার কারণ দেখিয়ে ফাইন চেয়ে ফোনে পুলিশের নামে মেসেজ এসেছ? ঘাবড়ে গিয়ে তাড়াহুড়োয় চট করে যেখানে সেখানে ক্লিক করবেন না। কারণ সাইবার জালিয়াতরা ট্রাফিক পুলিশের নাম ভাঙিয়েও আর্থিক প্রতারণার ফাঁদ পাততে শুরু করে দিয়েছে। সম্প্রতি এমনই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন, বেলঘরিয়ার বাসিন্দা সোমনাথ ঘোষ। রেড সিগনাল অমান্যের অভিযোগ জানিয়ে ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের নামে একটি মেসেজ আসে বিমাকর্মীর কাছে। সেই মেসেজে চালান নম্বর এবং জরিমানার অঙ্ক উল্লেখ করে জানানো হয়। সেই সঙ্গে এও লেখা হয় যে, কবে কীভাবে তিনি ট্রাফিক বিধি ভেঙেছেন, চালানে কী দেওয়া হয়েছে, তা জানতে তাদের অফিসিয়াল অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। সেইমতো একটি স্ক্যানারও পাঠানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন সোমনাথ। তবে চারিদিকে এত সচেতনতা প্রচার হওয়ায়, মনে খটকা লাগে তাঁর। সে পথে আর এগোননি পেশায় বিমা কর্মী সোমনাথ ঘোষ। পরে জানতে পারেন, ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট নামে আদতে কোনো বিভাগই নেই। পুরোটাই ভুয়ো। ব্যারাকপুর কমিশনারেট সূত্রে খবর, ঘটনার এনকোয়্য়ারি শুরু হয়েছে।
এভাবেই ইদানীং নানাভাবে পাতা হচ্ছে ডিজিট্যাল প্রতারণার ফাঁদ। একটি অসতর্ক হলেই বিপদ ভয়ঙ্কর। এ ব্যাপের বারবার মানুষকে সতর্ক করে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ একটি সতর্কতা পোস্টে লিখেছে -
ডিজিটাল অ্যারেস্ট একটি প্রতারণা! Stop: ভিডিও কলে ভুয়ো পুলিশ দেখে আতঙ্কিত হবেন না।Drop: সঙ্গে সঙ্গে কল কেটে দিন; 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট' কোনও আইনে করা যায় না।Inform: যদি টাকা হারিয়ে থাকেন, পুলিশ /হেল্প লাইনে জানান।