কলকাতা: করোনার (Corona) তৃতীয় ঢেউয়ে (Third Wave) তুঙ্গে উঠেছে সংক্রমণ। আর, অতিমারীর এই পরিস্থিতিতে নিজেদের কৌশলকেও তুঙ্গে নিয়ে গেছে প্রতারকরা। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rabindra Bharati University) তিন জন অধ্যাপিকার সেরকমই অভিজ্ঞতা হয়েছে।


ক্রমাগত স্ট্রেন বদলে, আরও মারাত্বক হচ্ছে করোনা। আর, এই অতিমারী পরিস্থিতিতে কৌশল বদলে আরও ভয়ঙ্কর হচ্ছে ফ্রডস্টাররা। শুধু বয়স্ক মানুষ বা তথ্য-প্রযুক্তি সম্পর্কে সড়গড় নন এমন ব্যক্তিরাই নন, হাতের মুঠোয় থাকা মোবাইলে ফাঁদ পেতে প্রতারিত করা হচ্ছে টেকস্যাভিদেরও।  মোবাইলে আসা একটা লিঙ্কে ক্লিক লাগছে না কোনও OTP।  লাগছে না ব্যাঙ্ক ডিটেইলস। অভিযোগ, অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি, এরকম ভাবেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ অধ্যাপিকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির  সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত দাস বলেন, “আমাদের ৩ জন টিচারের সঙ্গে ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’’


পুলিশ সূত্রে খবর অধ্যাপিকা দেবলীনা শেঠের দাবি,  ১২ জানুয়ারি, তাঁর স্যালারি অ্যাকাউন্টের KYC আপডেট করার জন্য মোবাইলে একটি SMS আসে। পর মুহুর্তে ফোন করা হয়। অভিযোগ, ওই লিঙ্কে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা তুলে নেওয়া হয়। এরপরই, লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪ জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকাকে নিয়ে একটি ওয়ার্কশপ করে।  লালাবাজারের তরফে জানানো হয়েছে,  তদন্তে নেমে কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল নম্বর ও IP অ্যাড্রেসের তথ্য পাওয়া গেছে। এই সূত্র ধরে, খুব তাড়াতাড়ি অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালানো হবে।


কিন্তু, কীভাবে হচ্ছে এই অভিনব কায়দায় প্রতারণা? সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ম্যাসেজ অ্যাটাক’ পদ্ধতিতে প্রতারণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার, গিরিশপার্ক থানার তরফে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের বিভিন্ন অংশে অনলাইন প্রতারণা এবং ব্যাঙ্ক প্রতারণার বিষয়ে সচেতন করে পোস্টারিং এবং মাইকে প্রচার করা হয়।


আরও পড়ুন: Sound Pollution: শব্দ দূষণ ঠেকাতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার, অসন্তোষ প্রকাশ গ্রিন ট্রাইব্যুনালের