ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: কাস্টমার কেয়ারের ফোন নম্বর জানতে অনেকেই শরণাপন্ন হন সার্চ ইঞ্জিন গুগলের। সুযোগ বুঝে, সেখানেও প্রতারণার ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা। এধরনের প্রতারণা থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


ব্যাঙ্কের লেনদেন থেকে স্কুল-কলেজের ফি ...গ্যাস, টেলিফোনের বিল থেকে হোটেল-রিসর্ট বুকিং...। জীবন এখন ডিজিটাল, সময় এখন অনলাইন। করোনা-পরবর্তী সময়ে, এই ইন্টারনেট-নির্ভরতা বেড়েছে বহুগুণ। আর এই সুযোগে সাইবার প্রতারণার জাল ছড়াচ্ছে প্রতারকরাও। দিনে দিনে বাড়ছে সাইবার-প্রতারণা। 


ব্যারাকপুরের বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল, পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। তাঁর দাবি, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাপের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করেন। এরপর তিনি ক্রেডিট কার্ডের স্ট্যাটাস চেক করার জন্য গুগলে সার্চ করেন ওই ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ারের নম্বর। সার্চ করে সবার ওপরের দিকে যে নম্বর পাওয়া যায় সেই নম্বরে ফোন করেন। 


অভিযোগকারীর দাবি, ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি তাঁর কাছে ব্যাঙ্ক ডিটেলস সহ বিভিন্ন বিষয় জানতে চান। কিছুক্ষণ পরে তিনি বুঝতে পারেন তাঁর মোবাইল ফোন হ্যাক করা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে সার্চ ইঞ্জিনে ভুয়ো কাস্টমার কেয়ারের নম্বর প্রথম দিকে চলে আসছে? সাইবার বিশেষজ্ঞ  ঋত্বিক লাল বলেন, "পয়সা দিয়ে সামনের দিকে রাখছে। প্রতারক এসব করছে। নতুন ছক।" 


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতন এবং সতর্ক থাকাই এধরনের ঘটনা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়। ফোন করার আগে ভাল করে চেক করে নিতে হবে কাস্টমার কেয়ার নম্বর। 


করোনা কালে বাইরে বেরনো যত নিয়ন্ত্রিত হয়েছে, ততই  ডিজিট্যাল কিনাকাটার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে মানুষ। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাইবার প্রতারণা । ২২ শতাংশ বেড়েছে সাইবার অপরাধ। বাড়িতে টাকা তুলে রাখার থেকে গুগল পে, ফোন পে থেকে ঝটপট কেনাকাটা সারছেন অনেকেই। ব্যাঙ্কের লেনদেনও হচ্ছে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। কিন্তু স্মার্ট ফোন, অনলাইন কেনাকাটার আধুনিকতম প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়া মানুষ কিন্তু কিছু অসাবধানতার জন্য বড়সড় সাইবার সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।