অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : ২০১৬’য় কাশ্মীরের লেহ থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত সাইকেলে ঘুরেছেন। এবার টার্গেট সোনালি চতুর্ভূজ। তিনটি জাতীয় সড়ক দিয়ে সাইকেলে ৩৪ দিনে ৬ হাজার কিলোমিটার পথ পেরোবেন ৬৬ বছরের গগন খোসলা (Gagan Khoshla)।
সাইকেলে ভারতভ্রমণ - নাম গগন খোসলা। নামের মতোই স্বপ্ন আর ইচ্ছেও তাঁর আকাশছোঁয়া। ৬৬ বসন্ত পেরিয়ে এখনও উদ্যমে ঘাটতি পড়েনি একবিন্দুও। সোনালি চতুর্ভূজ পরিভ্রমণে বেরিয়েছেন তিনি। দিল্লি থেকে কলকাতা, সেখান থেকে চেন্নাই তারপর মুম্বই। কিন্তু, বিমান বা ট্রেন নয়, স্রেফ সাইকেলে। সোমবার কলকাতায় পৌঁছন ষাটোর্ধ্ব গগন খোসলা। আন্তর্জাতিক এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছেন। উদ্দেশ্য কোভিড পরবর্তী সময়ে শিশুদের সাহায্য করা।
কোন পথে - ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক, ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ও ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার পথ পেরোবেন গগন। সময় লাগবে ৩৪ দিন। বয়স ৬৬। গগনের কাছে, কার্যতই age is just a number। কিন্তু এমন সফরে শুধুই কি শারীরিক ফিটনেস হলেই চলে? গগনের হাসিমুখে উত্তর, টানা সাইকেল ট্রিপের জন্য শারীরিক মানসিক ও ইমোশনাল ফিটনেস লাগে।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৬ সালে কাশ্মীরের লেহ থেকে কন্যাকুমারিকা সাইকেলে ঘুরেছেন গগন। এবার টার্গেট সোনালি চতুর্ভূজ।
আরও পড়ুন- ডিসেম্বর থেকেই কলকাতায় চালু হচ্ছে জঞ্জাল পৃথকীকরণের কাজ
প্রসঙ্গত, নিয়মিত ভাবে সাইক্লিং করার অভ্যাস থাকলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এর পাশাপাশি শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যা দূর হবে। অর্থাৎ আপনার শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা সঠিকভাবেই বজায় থাকবে।
প্রতিবছর ৩ জুন, পালিত হয় বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস। ২০১৮ সালে প্রথমবার ৩ জুনকে বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস হিসেবে ধার্য করা হয়। নিউইয়র্কে UNGA-এর ৭২তম সেশনে এই দিনটিকে ধার্য করা হয়। ১৯৩টি দেশ এটি গ্রহণ করে। চলতি বছরে যে উপলক্ষ্যে সাধারণ মানুষ ও দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে সাইক্লিং নিয়ে সচেতনতা প্রসার করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল সাইকেল যাত্রার। দেশের মোট ৭৫টি জায়গায় আয়োজন করা হয়েছিল। সুস্থ থাকার জন্য এবং ফিট থাকতে সাইকেল চালানো উপকার করতে পারে, এই সচেতনতা ছড়ানোই লক্ষ্য ছিল।