অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : ডিসেম্বরেই কলকাতায় চালু হচ্ছে উৎস থেকে জঞ্জাল পৃথকীকরণের (Grabage Separation Work) কাজ। তার খুঁটিনাটি শেখাতে কাউন্সিলরদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করবে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। ইতিমধ্যে ২৭টি ওয়ার্ডে আবর্জনা সেগ্রিগেশনের এই প্রকল্প চালু হয়েছে।


আলাদা-আলাদা জায়গায় ফেলতে হবে পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা


এবার থেকে আর একসঙ্গে নয়, আলাদা করে ফেলতে হবে পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা। পয়লা ডিসেম্বর থেকেই কলকাতা পুরসভায় চালু হতে চলেছে এই নিয়ম। কলকাতা পুর-এলাকার সব বাড়িতে একটা করে নীল ডাস্টবিন ও একটা সবুজ ডাস্ট বিন দেওয়া হবে।


সবুজ ডাস্টবিনে ফেলতে হবে মাছ-মাংসের উচ্ছিষ্ট অংশ, সব্জির খোসার মতো পচনশীল বর্জ্য। আর নীল ডাস্টবিনে ফেলতে হবে অপচনশীল জঞ্জাল। পুরসভার কর্মীরা দিনের নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করবেন। তবে, বড় আবাসনগুলির ক্ষেত্রে পচনশীল জঞ্জালের দায়িত্ব নিতে হবে কর্তৃপক্ষকে। 


ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভার ২৭টি ওয়ার্ডে এই পদ্ধতি চালু হয়েছে। এবার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই আবর্জনা বিভাজনের কাজ শুরু হবে। উত্‍স থেকেই আলাদা করা গেলে পচনশীল জঞ্জাল থেকে সার তৈরি ও অন্যান্য কাজ আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন পুরকর্মীরা।


আরও পড়ুন- নতুন বছরের আগেই সুখবর, জোকা থেকে মেট্রো চালু ডিসেম্বরেই


এদিকে, যন্ত্রের গুণে আবার ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে জঞ্জাল (Garbage)! রাজারহাটে (Rajarhat) এমনই এক প্রজেক্ট শুরু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। বরাত দেওয়া হয়েছে হায়দরাবাদের এক কোম্পানিকে।


জঞ্জালই হয়ে উঠবে নির্মাণের উপাদান। এমনই এক প্রজেক্ট চালু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। রাজারহাটে রয়েছে কলকাতা পুরসভার একটি জমি। সেই ২০ একরের মধ্যে, ৫ একর জায়গায় একটি প্রকল্প চালু করছে KMC। পোশাকি নাম construction & Demolition Materials Recycling Project। অর্থাত্‍, বাড়ি তৈরির সময় যে কংক্রিটের জঞ্জাল বের হয়, তা-ই আবার পুনর্ব্যবহার যোগ্য করে তোলা হবে। হায়দরাবাদের একটি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব। যাঁরা কংক্রিটের জঞ্জালকে টুকরো টুকরো করে, ফের তা দিয়ে তৈরি করবে, এক ধরণের বালি, পেভার ব্লক। 


ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ক্রাশার মেশিন বসে গেছে। কাজও শুরু করে দিয়েছে সেগুলি। এক নির্মাণ ভেঙে আবর্জনা। আবার তা থেকে নির্মাণ সামগ্রী। যন্ত্রের গুণে আবার ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে এত্তা জঞ্জাল।