গৌতম মণ্ডল, কাকদ্বীপ: উপকূলের সঙ্গে দূরত্ব কমছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আজ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সুন্দরবন উপকূলে ঝড়ের দাপট বেশি।


প্রহর গুনছে বাংলা: দুর্যোগের আবহে উপকূলবর্তী সমস্ত জেলাকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের দফতরেও খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এই কন্ট্রোল রুম চলবে। পাথরপ্রতিমা, নামখানা, সাগর, কাকদ্বীপ - চারটি ব্লকের সঙ্গে যোগাযোগ আরো নিবিড় করতেই এই উদ্যোগ।  কন্ট্রোল রুম পরিচালনার দায়িত্বে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট শৌভিক ভট্টাচার্য। লট নম্বর আট, সাগর, নামখানার সিসিটিভি মনিটরিং চলছে মহকুমা শাসকের দফতর থেকে। ব্যবহার করা হচ্ছে টেলিফোনের পাশাপাশি স্যাটেলাইট ফোনও।  


কাল পর্যন্ত জেলায় সমস্ত জল পরিবহণ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল রাত থেকেপ্রায় ৫০ হাজার মানুষকে ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। সাগর, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, গোসাবা ও কাকদ্বীপ থেকে সবথেকে বেশি মানুষকে সরানো হয়েছে। এছাড়া, সুন্দরবনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলিতে বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। উপকূলে ৩৫টি CC ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে NDRF-এর ৩টি, SDRF-এর ২টি দলকে এবং প্রশিক্ষিত ডুবুরিদের। গাছ ভেঙে পড়লে পরিষ্কার করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৪৭০টি দল। জেলা, মহকুমা ও ব্লকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র ও সুন্দরবন ভ্রমণ আজ ও কাল বন্ধ রাখা হয়েছে।


এদিন সকাল থেকে এলাকা খালি করার কাজ শুরু করে পুলিশ ও প্রশাসন। কাকদ্বীপের বাসিন্দা দশমী দাস বলেন, "ভয়ে আমরা আতঙ্কে আমরা চলে যাচ্ছি। বাধ্য হয়ে আমাদের ঘর-বাড়ি ছেলেপুলে নিয়ে আমরা জীবনের জন্য আমরা চলে যাচ্ছি। কী করব এখন।'' আরেক বাসিন্দা পূর্ণিমা দাস বলেন, "এই একে একে তিনবার করে আমরা যাচ্ছি। আমরা কিছু পাচ্ছি না। আপনারা যখন সাহায্য সহযোগিতা করবেন না, সেটা তো করেনি। যেখানে আমাদের যেতে বলে চলে যাই।''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Cyclone Dana in Kolkata: শনিবার পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি? কলকাতায় ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র প্রভাব কতটা, জানাল আবহাওয়া দফতর