কলকাতা: কালীপুজোর আগেই বড় দুর্যোগ আশঙ্কা রাজ্যে। আলোর উৎসবের আগেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ২৩ তারিখ শক্তি বাড়িয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের রূপান্তরিত হবে। ২৪ তারিখ সকালে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এবং ওড়িশা উপকূলের কাছে আসবে। ফলে দীপাবলির আগে ভাসতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা।


মৌসম ভবনের তরফে বলা হয়েছে আগামী ২৪ ঘন্টায় নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। ২৩ তারিখ ঘূর্ণিঝড়ে ঘণীভূত হতে পারে এটি। সমুদ্রে ১১০ থেকে ১২০ কিমি হাওয়া বইবে বলে এখনও অনুমান।             


ঘূর্ণিঝড় কতটা শক্তিশালী হতে চলেছে তা নিয়ে অবশ্য এখনই কিছু বলা হয়নি পূর্বাভাসে। তবে সমুদ্রপৃষ্টে যদি এটির শক্তিবৃদ্ধি হয় তবে স্থলভাগে প্রবেশ করে দাপট দেখাতে পারে ঘূর্ণিঝড়। উল্লেখ্য, গত মে মাসে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ল্যান্ডফলের সময় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিমি। লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন ও বাংলাদেশ এলাকা। রেমালের প্রভাবে কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় অতিভারী বৃষ্টি হয়েছিল।   


আরও পড়ুন, তুমুল বৃষ্টি, ১২০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝড়! ঘূর্ণিঝড়ের চরম প্রভাব কোন কোন জেলায়?




ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। উপকূলবর্তী এলাকা, নিচু এলাকাগুলি থেকে সকলকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে কোথাও ভ্রমণ না করতে বলা হয়েছে। সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের বারণ করা হয়েছে। ট্রাফিকের ক্ষেত্রে যা নিয়ম আরোপ করা হবে, তা মানতেও বলা হয়েছে। জল নিকাশী ব্যবস্থাগুলিকেও আগে পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে, ওড়িশা ও পূর্ব মেদিনীপুরে তার সর্বাধিক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়া দফতরের। এবিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে প্রশাসনকে।                                          


সোমবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই তবে সোমবার থেকে উত্তাল থাকবে সমুদ্র। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহবিদ সৌরীশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২৩ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত সমুদ্রে হাওয়ার গতি অনেকটাই বেশি থাকবে। 



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে