অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) জওয়াদের আসার আগেই মেদিনীপুর পুরসভায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সম্ভাব্য ক্ষতির আশঙ্কায় এলাকা চিহ্নিত করে মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ (NDRF) টিম। জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন, সব জায়গায় ত্রাণ শিবির (Relief Camp) প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের। অধিকাংশ জায়গায় বাঁধ নির্মাণের কাজও সম্পূর্ণ হওয়ার পথে, জানিয়েছেন মন্ত্রী।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে শুক্রবার বিকালের পর থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore) জেলার আকাশে পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) নির্দেশ অনুসারে জেলাও তৈরি। জেলার সম্ভাব্য ক্ষতি হতে পারে এমন এলাকা গুলি চিহ্নিত করে এনডিআরএফ টিম নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও জেলাশাসক।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত জেলা শাসক ও মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে প্রস্তুতি চূড়ান্ত। রাজ্যের জনসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন জেলাতে এনডিআরএফ টিম নেমে গিয়েছে। সব জায়গাতে আশ্রয় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ব্লক স্তরের আধিকারিক থেকে জনপ্রতিনিধি সকলকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
ক্রমশ এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় জওয়াদ। বর্তমানে বিশাখাপত্তনম থেকে ২২০, পুরী থেকে ৪০০, পারাদ্বীপ থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। আজ সকালের মধ্যেই উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে জওয়াদ। তার পর আরও কিছুটা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ওড়িশা উপকূল বরাবর সরে আগামীকাল দুপুর নাগাদ পুরী উপকূলের কাছে পৌঁছবে। এরপর ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ বাংলার দিকে হলেও, আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, জওয়াদের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। পুরীর কাছে পৌঁছেই শক্তি হারাবে ঘূর্ণিঝড়। বাংলায় ঢোকার আগে তা পরিণত হবে নিম্নচাপে। সেই নিম্নচাপ সুন্দরবনের উপর দিয়ে বাংলাদেশে চলে যাবে।
আরও পড়ুন: Jawad Cyclone: ধেয়ে আসছে জওয়াদ, মাঠ থেকে ফসল তোলার প্রস্তুতি কৃষকদের