সোমনাথ দাস ও অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দুই মেদিনীপুরে। জওয়াদের আশঙ্কায় পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) চন্দ্রকোণায় মাঠ থেকে আগেভাগে ফসল তুলে ফেলছেন চাষিরা। ফসলের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে গ্রামে গ্রামে মাইকে প্রচার চালাচ্ছে কৃষি দফতর (Agriculture Department)। পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃষিপ্রধান এলাকা ঘাটাল (Ghatal), চন্দ্রকোণা (Chandrakona), দাসপুরে (Daspur) কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে। জমিতে থাকা পাকা ধান দ্রুত কেটে নিয়ে গুদামে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আলু ও সবজি চাষিদেরও নিকাশি পরিষ্কার রাখার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে।
ক্রমশ এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় জওয়াদ (Jawad)। বর্তমানে বিশাখাপত্তনম থেকে ২২০, পুরী থেকে ৪০০, পারাদ্বীপ থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। আজ সকালের মধ্যেই উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে জওয়াদ। তার পর আরও কিছুটা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ওড়িশা উপকূল বরাবর সরে আগামীকাল দুপুর নাগাদ পুরী উপকূলের কাছে পৌঁছবে। এরপর ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ বাংলার দিকে হলেও, আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, জওয়াদের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। পুরীর কাছে পৌঁছেই শক্তি হারাবে ঘূর্ণিঝড়। বাংলায় ঢোকার আগে তা পরিণত হবে নিম্নচাপে। সেই নিম্নচাপ সুন্দরবনের উপর দিয়ে বাংলাদেশে চলে যাবে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃষিপ্রধান এলাকা ঘাটাল,চন্দ্রকোণা,দাসপুর। জমিতে পড়ে রয়েছে পাকা ধান। কৃষকদের সচেতন করার লক্ষ্যে চন্দ্রকোনা ১ ব্লক কৃষি দপ্তর থেকে শুরু হয়েছে মাইক প্রচার। পাকা ধান অতিসত্বর কেটে, গুদামজাত করার জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে। প্রয়োজনে মেশিন দিয়ে তাড়াতাড়ি ধান কেটে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। আলু ও সবজি চাষিদের ক্ষেত্রেও সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও যেসব কৃষক এখনও জমিতে আলু লাগানো শুরু করেননি তাঁদেরকে আরও বেশ কয়েক দিন পিছিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণ গড়ের ব্লকের কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এদিকে কৃষকদের মাঠে ধান পড়ে রয়েছে আর সেই ধান ঘরে তুলতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন কৃষকেরা। ১২ নম্বর তুত্রাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়কারোর হাতে ধান কাটার মেশিন কেউ আবার বছরের ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত।
আরও পড়ুন: West Burdwan News: দুর্গাপুরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীতে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষার প্রশিক্ষণ ঘিরে বিতর্ক