কলকাতা : বৈশাখী গরমে নাজেহাল বাংলা। কয়েকদিনের বৃষ্টি স্বস্তি দিলেও আবার গরম বাড়তে পারে। যদিও এই মুহূর্তে তাপপ্রবাহের (Heatwave) সম্ভাবনা নেই রাজ্যে। তাই বর্ষা কবে আসবে সেদিকেই নজর সকলের। গরম কালে কখনও আয়লা, কখনও আমফান, কখনও যশের তাণ্ডব দেখেছে বাংলা। এবার আবারও এক ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্কেত পাওয়া যাচ্ছে বলে খবর, বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশ ।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশ, এমন ঝড় আসতে চলেছে যা আগের ঘূর্ণিঝড়গুলির থেকেও বেশি শক্তিশালী হতে পারে। এই ঝড়ের নাম রেমাল। শক্তিশালী সাইক্লোন Remal মে মাসের শেষের দিকেই আছড়ে পড়তে পারে। আবহাওয়া দফতর যদিও এখনও বলেনি, কোন পথে কত গতিবেগ নিয়ে এগোবে রেমাল। তবে মনে করা হচ্ছে, আগামী ২০ মে থেকে এই ঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে।
আবহবিদদের ধারণা, মে মাসের শেষাশেষি , মোটামুটি ২৪ মে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে এগোবে এই ঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিঘাত কোথায় হবে, কতটা হবে, তা এখনও বলা যাচ্ছে না। এই সাইক্লোন আছড়ে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের উপকূলে।
ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে দেখলেই দেখা যাবে, ফি বছর এই রকম সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা! ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে ছোবল মেরেছিল আয়লা। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় একশো কুড়ি কিলোমিটার।আয়লার দাপটে বাংলায় প্রাণ গিয়েছিল কমপক্ষে ১৫০ জনের। ২০১৯-এর ৩ এবং ৪ মে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় ফণী। ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়েছিল ফনীর ছোবল! ২০২০-র ২০ মে বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়ে আমফান। সেই ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বাংলায় ৮০ জনের ওপরে মানুষ মারা যান। Sই ক্ষত শুকোতে না শুকোতেই ২০২১ এ ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রথম ঝাপটা সহ্য করতে হয় দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের! কিন্তু এই মে মাসেই কেন বারবার ধেয়ে আসে ঘূর্ণিঝড়? বিশেষজ্ঞদের মতে, সমুদ্রের জলের উষ্ণতা বৃদ্ধি এর অন্যতম বড় কারণ।
এবারও কি কোনও বড় ঝড় দেখতে চলেছে বাংলা ? তা জানা যাবে মে মাসের শেষের দিকেই। তবে এরই মধ্যে আবহাওয়া দফতর দিয়েছে সুখবর। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ের আগেই ১৯ মে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন : সঙ্কটের মেঘ কাটাবে জ্যৈষ্ঠ-মঙ্গলবারে এইভাবে বজরঙ্গবলীর আরাধনা