ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: পরিষেবা (Cyclone Remal Aftereffect) চালু হওয়ার পরেও বিমান অবতরণে (Flight Take Off Interrupted) সমস্যা। খারাপ আবহাওয়ার জন্য সমস্যা, খবর কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে। উড়ান ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য বিমানবন্দরে। তবে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমান আকাশে উড়তে সমস্যা হচ্ছে না। 


বিশদ...
সোমবার সকালে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় বিমান চলাচল চালুর সিদ্ধান্ত নেন কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সকাল ৯টা থেকে পরিষেবা চালুর কথা থাকলেও পঁয়তাল্লিশ মিনিট আগেই সেই পরিষেবা চালু করেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বেলা গড়াতেই আবহাওয়ার অবনতি শুরু হতে করে। বিমানবন্দরের যে 'ডিপার্চার'-র যে জায়গা রয়েছে, সেখানে দাঁড়ালেই ঝোড়ো হাওয়ার দাপট টের পাওয়া যাচ্ছে। মূলত এই কারণেই কলকাতাগামী বিমানগুলি অন্য বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া চলছে এখনও, সঙ্গে বৃষ্টি। সব মিলিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণে তুমুল সমস্যা হচ্ছে বলে খবর। শেষ ১ ঘণ্টায় এমন অন্তত ৫টি বিমান অন্য বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়। তবে  'ডিপার্চার'-এ যে বিমানগুলি রয়েছে, তাতে কোনও সমস্যার কথা এখনও জানা যায়নি। ফলে বিমান ছাড়া নিয়ে এখনও কোনও ঘোষণা নেই কর্তৃপক্ষের তরফে। শুধু অবতরণের ক্ষেত্রে এই সমস্যা জানাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু কখন পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে বিমান পরিষেবা? এখনও স্পষ্ট নয়।


মৃত্যুমিছিল...
এদিকে এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে 'রেমাল'-র দাপটে রাজ্যে অন্তত ৪ জনের প্রাণ গিয়েছে। এর মধ্যে এন্টালির বিবির বাগানে কার্নিশ ভেঙে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আবার মৌসুনী দ্বীপে মারা যান এক মহিলা। নাম রেনুকা মণ্ডল। মৃত্যুর সময়ে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। রবিবার রাত আটটা নাগাদ বাড়ির পাশের টিনের ছাউনি দেওয়া মাটির রান্নাঘরে বসেছিলেন বৃদ্ধা। আচমকা সেই সময় পাশের একটি গাছ ভেঙে রান্নাঘরের উপরে পড়লে চাপা পড়ে যায়। তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজনেরা সেখান থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। এর পর জোড়া মৃত্যুর খবর আসে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে। সেখানে ঝড়ে ভেঙে পড়া কলাগাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান বাবা-ছেলে। কলাগাছের গায়ে বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে ছিল, তারের সংস্পর্শে আসাতেই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন বাবা, বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ছেলে।



আরও পড়ুন:হুইল চেয়ারেই জল পেরিয়ে হাসপাতালে, মেডিক্যাল কলেজে কীভাবে চলছে রোগী দেখা ?