সন্দীপ সরকার, কলকাতা : দুর্যোগের মাঝে একটু স্বস্তির খবর। দক্ষিণবঙ্গে কাটতে চলেছে রেমাল-দুর্ভোগ। বেলা যত গড়াবে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট কমবে। তবে এক রাতেই তছনছ শহর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা। জল থৈ থৈ অবস্থা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। অন্যদিনের মতোই আউটডোর চলছে নিয়ম মতো। তবে হাঁটু জল ভেঙে নির্দিষ্ট বিভাগে পৌঁছতে প্রবল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগী ও রোগীর পরিবারকে।
আউটডোর কি খোলা ?
মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগ, প্যাথলজি বিভাগের সামনে জলের তোড়। যে কোনও ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা যে কোনও পরীক্ষা করাতেই যেতে হয় এই বিভাগে। সকাল থেকেই জল ঠেলে রোগীদের যেতে হচ্ছে সেখানে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, জল ভেঙে পরীক্ষা করাতে যাচ্ছেন রোগীরা। এমনকী দেখা গেল হুইল চেয়ারে করেও রোগীকে এগোতে হচ্ছে সেইদিকে। কলকাতা মেডিক্যালের বিভাগের সামনে জল। ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে, পাম্প বসিয়ে জল বার করার কাজ চলছে। তবে এতটা জল নামতে অনেকটা সময় লেগে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন। হাসপাতালে হাসপাতালে থিকথিকে ভিড় হয় রোগীদের। ট্রেনে গোলমাল থাকায় দূর থেকে অনেক রোগী আসতে পারেননি। তাই সকাল সকাল এদিন ভিড় একটু হালকা। তবে নিয়ম মতো সোমবার হাসপাতালের আউটডোর খোলা। তবে জল পেরিয়ে ডাক্তার দেখাতে বা টেস্ট করাতে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে রোগীদের।
কোথায় কোথায় ঝড়ের তাণ্ডব?
সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু জল। কলকাতার খিদিরপুর সংলগ্ন কলকাতা বন্দর এলাকার হাইড রোড জলমগ্ন। জল থৈ থৈ করছে বেহালার পাঠকপাড়াও। কারও কারও বাড়িতেও জল ঢুকে গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিবার বর্ষায় এই হাল হয়। এভাবেই জল পেরিয়ে অফিস-কাছারি, স্কুল-কলেজে যেতে হয়। বরানগর কাশীনাথ দত্ত রোডে একটি পরিত্যক্ত কারখানার ধাতব চিমনি গাড়িগুলির ওপর ভেঙে পড়ে থেঁতলে গিয়েছে সবকটি গাড়ি। সিঁথি মোড় লাগোয়া কাশীনাথ দত্ত রোডও জলমগ্ন। জল ভেঙে যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে আলিপুরের বেলভেডিয়ার রোডে আবার গাছ ভেঙে পড়ে বিপত্তি ঘটে । কাজের দিনে ব্যস্ত রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পার্ক সার্কাসে তপসিয়া থেকে বেকবাগান মোড় পর্যন্ত কংগ্রেস এক্সিবিশন রোড কার্যত জলের তলায়।সল্টলেকের AA ব্লক, AC ব্লক, FD ব্লক-সহ বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ায় রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। সব মিলিয়ে সারা শহর জুড়েই রেমাল তাণ্ডব ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন:
ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে কার্নিশ ভেঙে মৃত্যু, কলকাতায় প্রাণ কাড়ল রেমাল