Continues below advertisement

একদিকে ঝড়, বৃষ্টি, হড়পা বাণে বিপর্যস্ত বাংলা, অন্যদিকে ভয়ঙ্কর দুর্যোগের শঙ্কা তৈরি হচ্ছিল মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু জেলায় । আরব সাগরের উপর শক্তি বাড়াচ্ছিল সাইক্লোন ‘শক্তি’। এর জেরে পশ্চিম ভারতে সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।  আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার থেকে রবিবারের মধ্যে ওই দুর্যোগের আশঙ্কা ছিল  প্রবল। অবশেষে শক্তি হ্রাস হল সাইক্লোন শক্তির। মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু জেলায় আপাতত বড়  ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আর নেই বলেই পূর্বাভাস আইএমডি-র। 

এখন কী  অবস্থা সাইক্লোন শক্তির ?

Continues below advertisement

আইএমডির সর্বশেষ আপডেট অনুসারে, পশ্চিম-মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম আরব সাগরের উপর দিয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়টি  (শক্তি)  গত ৬ ঘন্টায় অনেকটাই শক্তি হ্রাস করেছে। সোমবার ভোর ৫:৩০ থেকে ৫ কিলোমিটার বেগে প্রায় দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে সেটি তীব্র, অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। তীব্র ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। সিস্টেমটি পশ্চিম-মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম আরব সাগরের উপর দিয়ে পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ৭ অক্টোবর সকালের মধ্যে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

মৎস্যজীবিদের সতর্কবার্তা 

৭ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত পশ্চিম-মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম আরব সাগরে সমুদ্রের অবস্থা অত্যন্ত উত্তাল থাকার কথা।  তাই জেলেদের সতর্রক করেছে আবহাওয়া দফতর। আগামীকাল,  ৭ অক্টোবর পর্যন্ত পশ্চিম-মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম আরব সাগরে না যাওয়ার জন্য জেলেদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।                       

কোথায় এখন ঘূর্ণিঝড় শক্তি? আপাতত আইএমডি জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় শক্তি এখন  ভারত থেকে দূরে সরে গেছে। দেশের উপকূলরেখায় সরাসরি প্রভাব ফেলবে না আর এই ঝড়। যদিও সমুদ্রের পরিস্থিতি এখনও যথেষ্ট উত্তাল। তীব্র বাতাস বইছে উপকূলে।  এখনও এই সিস্টেমটির প্রভাবে পশ্চিম-মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম আরব সাগরে ৮০-৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

আবহাওয়া দফতরের তরফে, ৪৮ ঘণ্টা আগেই মুম্বই, ঠাণে, পালগড়, রায়গড়, রত্নগিরি ও সিন্ধুদুর্গ জেলায় সতর্কবার্তা জারি করা হয়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, হাওয়ার গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার।  সমুদ্র আজ ও আগামীকাল উত্তালই থাকবে, তাই   মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে। তবে বড় ক্ষয়ক্ষতি ঘটার আশঙ্কা কম।