হিন্দোল দে, সৌমিত্র রায়, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: বকেয়া ডিএ-র (Pending DA) দাবিতে আজ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনে (Movement) ২২ দিন পূর্ণ হল। ৮ দিনে পড়ল অনশন। বাজেটে (Finance Budget) তিন শতাংশ বর্ধিত ডিএ-র ঘোষণা করেছে রাজ্য় সরকার (state government। কিন্তু এই ঘোষণায় সরকারি কর্মীদের একাংশ খুশি হলেও, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে আন্দোলনরত কর্মচারীরা। আজ ধিক্কার দিবস পালন করছেন তাঁরা। কালো ব্যাচ পরে কাজ করবেন সরকারি কর্মীরা।আজই বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে শ্রমিক-কর্মচারী শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ ১২ জুলাই কমিটি। এদিকে, আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
কী ঘটল?
ঘটনাচক্রে এদিনই বাঁকুড়ার সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ' আমি ম্যাজিসিয়ানের মত টাকা দিতে পারিনা। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও ৩ শতাংশ ডিএ দিয়েছি।' পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও। বলেন, 'সকলের ধৈর্যচ্যুতি ঘটছে। পপুলার প্রকল্প ভোটের স্বার্থে নেওয়া হচ্ছে। সেই কাজও এঁদের করতে হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের অধিকার রক্ষার জন্য সরকারের কোনও প্রচেষ্টা নেই।'
প্রেক্ষাপট...
কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-র ফারাক ছিল ৩৪ শতাংশ। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী সেই ব্যবধান বেড়ে হয় ৩৫ শতাংশ। এখন মূল বেতনের ৩ শতাংশ হারে DA পান রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তার সঙ্গে আরও ৩ শতাংশ, অর্থাৎ মূল বেতনের ৬ শতাংশ হাতে DA পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এর ফলে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA-এর ফারাক হবে ৩২ শতাংশ। এতে, একদমই খুশি নন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। প্রতিবাদে গতকাল কলকাতায় মিছিল করেন তাঁরা। শহিদ মিনার সংলগ্ন মাঠে মিছিল করা হয়। DA-সহ একাধিক দাবিতে, ১৭ ফেব্রুয়ারি, বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে শ্রমিক-কর্মচারী শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ ১২ জুলাই কমিটি। রাজ্যপালের কাছেও, ডেপুটেশন দেবে তারা। এদিকে DA-মামলা এখন সুপ্রিমকোর্টের বিচারাধীন রয়েছে। ১৫ মার্চ, এই শুনানি হওয়ার কথা। এর মধ্যেই ডিএ নিয়ে আন্দোলন চলছে। গত কাল আবার সল্টলেকে আশা কর্মীদের ডেপুটেশন ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে। বেতন বৃদ্ধি-সহ ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ দেখান আশা কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। দিতে হবে সরকারি স্বীকৃতি। আর এই দাবিতে সরব আশা কর্মীরা। এদিন বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে সল্টলেকে পুলিশের সঙ্গে একেবারে ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা বচসা শুরু হয়।
আরও পড়ুন:'টাকা দাও বললেই গুপী গাইন বাঘা বাইনের মতো মিষ্টি চলে এল ! ম্যাজিশিয়ান নই'