কলকাতা: বদলি থেকে শুরু করে একদিনের বেতনে কাটার নির্দেশের পরও, বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটছে আন্দোলনকারীরা। সেই সঙ্গে ডিএ-আন্দোলন ঘিরে বিরোধী দলগুলির এক মঞ্চে আসার সম্ভাবনাও ক্রমশ জোরাল হচ্ছে। যাকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল (TMC)। 



একদিকে বদলির নির্দেশ। অন্যদিকে বেতনে কোপ। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীরা যখন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তখন আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের অভিযোগ ঘিরে ঘনাচ্ছে বিতর্কের মেঘ। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে অংশ নিয়েছিলেন, এমন ৬ জন সরকারি কর্মীকে কলকাতা থেকে জঙ্গলমহলের জেলায় বদলি করা হয়েছে। 


অন্য দিকে, শনিবারই বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণকারীদের তালিকা দিয়ে একদিনের বেতন কাটার নির্দেশ কার্যকর করার কথা জানানো হল। কর্মীদের তালিকা প্রকাশ করে পাঠানো হল অর্থ দফতরের কাছে।                                                                           


সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কলকাতা জেলা কমিটির আহ্বায়ক অর্জুন সেনগুপ্ত বলেন, 'চ্যালেঞ্জ করব। সরকার কাটতে পারে না। এটা বেআইনি। আর কাটলে কাটবে।' তবে এসবের মধ্যেও ডিএ-আন্দোলনকারীরা পিছু হঠতে নারাজ। সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে একের পর এক কর্মসূচি ঘোষণা করছে তারা। সেই সঙ্গে ডিএ-আন্দোলন ঘিরে বিরোধী দলগুলির এক মঞ্চে আসার সম্ভাবনাও ক্রমশ জোরাল হচ্ছে।  


আরও পড়ুন, ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতি, তালিকা দিয়ে একদিনের বেতন কাটার নির্দেশ


বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ২৯ মার্চ বিচিত্র গণ অনশনের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। একইসঙ্গে ধর্মঘটে অংশ নেওয়া ৬ জন সরকারি কর্মীকে কলকাতা থেকে জঙ্গলমহলে বদলির প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। পরের দিন, ৩০ মার্চ রয়েছে মঞ্চের মহা সমাবেশ। সেখানে থাকার জন্য বিরোধীদের আহ্বান জানিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।


এর আগে ডিএ-র আন্দোলন মঞ্চে একসঙ্গে দেখা গেছে কংগ্রেস ও বিজেপি নেতাদের। দোলের দিন আন্দোলন মঞ্চে গেছিলেন সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি তিন বিরোধী দলের নেতারা। আগামী ২৯ মার্চও কি ফের একবার এই ছবি দেখা যাবে? জল্পনা উস্কে, ধর্মঘটে অংশ নেওয়া সরকারি কর্মীদের বদলির প্রতিবাদে, একসুরে সরব হয়েছেন তাঁরা।