কলকাতা: রাজ্য সরকার (West Bengal Government) ৩ শতাংশ DA বৃদ্ধির পরেও আন্দোলনে অনড় রয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের একাংশ। এদিনে আন্দোলনকারীদের ধর্নামঞ্চে যান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। ধর্মঘটে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।


আন্দোলনে অনড়: এক মাস হয়ে গেল। বকেয়া DA'র দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থানে অনড় রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের একাংশ। রবিবার ১৭ দিনে পড়েছে তাঁদের অনশন কর্মসূচি। মার্চ মাস থেকে বেতনের সঙ্গে ৩ শতাংশ হারে DA মিলবে। রাজ্য বাজেটে ঘোষণার পর শুক্রবার এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অর্থ দফতর। কিন্তু, রাজ্য সরকার ৩ শতাংশ DA বৃদ্ধির পরেও, ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA-এর ফারাক এখন ৩২ শতাংশ। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।


অবস্থান-বিক্ষোভ, অনশন, টানা ২ দিনের কর্মবিরতি, ধিক্কার দিবসের পর আগামী ১০ মার্চ রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিসে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা। পাশাপাশি, এদিন ফের পঞ্চায়েত ভোটে অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ  বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে অংশ নেব না। অসহযোগিতা করব। কমিশন থেকে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা দেব না।’’এদিন, ধর্নামঞ্চে একটি নাটক মঞ্চস্থ করেন আন্দোলনকারীরা। যেখানে দেখানো হয়, লটারি প্রাপকরা রাজ্যের কল্যাণে টাকা দান করছেন।


কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-র ফারাক ছিল ৩৪ শতাংশ। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী সেই ব্যবধান বেড়ে হয় ৩৫ শতাংশ। এখন মূল বেতনের ৩ শতাংশ হারে DA পান রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তার সঙ্গে আরও ৩ শতাংশ, অর্থাৎ মূল বেতনের ৬ শতাংশ হাতে DA পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এর ফলে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA-এর ফারাক হবে ৩২ শতাংশ। এতে, একদমই খুশি নন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। এই আবহে ১০ মার্চ  রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিসে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের একাংশ। এদিকে DA-মামলা এখন সুপ্রিমকোর্টের বিচারাধীন রয়েছে। ১৫ মার্চ, এই শুনানি হওয়ার কথা।      


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বিরোধীদের একজোট হওয়ার ডাক শুভেন্দুর