কলকাতা: DA মামলায় জোর ধাক্কা রাজ্যের। সুপ্রিম কোর্টে ধোপে টেকেনি রাজ্যের কাতর আর্জি। অবশেষে স্বস্তি ফিরল রাজ্যের সরকারি কর্মীদের। কারণ এদিন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতার ২৫ শতাংশ দিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। আর এবার রাজ্যের শাসকদলকে জোর নিশানা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর।

আরও পড়ুন, প্রথম বেআইনি কাজটা আন্দোলনকারীদের তরফেই হয়েছে, সব্যসাচী দত্ত ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া পুলিশের

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টে মূল লড়াই চলে গত তিন বছর ধরে। ডেটের পর ডেট । সরকার জানত এই মামলায় তাঁরা হারবে। জানত বলেই কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন। এই টাকা থাকলে, অন্তত ১০ টি বড় হাসপাতাল তৈরি করা যেত। ১০০ টি হাসপাতালে MRI মেশিন বসানো যেত। ৫০০ হাসপাতালে সিটি স্ক্যান বসিয়ে দেওয়া যেত। এই টাকা থাকলে অন্তত ২০০ টি নতুন স্কুল বিল্ডিং তৈরি করা যেত। কতটা টাকা খরচ করেছে এরা, SIT থেকে সুপ্রিম কোর্ট অবধি। এটা ২০০ কোটি টাকার বেশি।'

সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে।শুক্রবার রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা। শিক্ষা দফতরের কর্মী চন্দন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, সরকারের প্রতি এটাই বার্তা, এই ঘেউ ঘেউ করা প্রাণীগুলো কিন্তু জেগে উঠেছে, এরপর সাবধান,কামড়ালে জলাতঙ্ক।'

নাকতলার বাসিন্দা সুজিত দাশগুপ্ত। কাজ করতেন ভূমি রাজস্ব দফতরের রেন্ট কন্ট্রোল অফিসে।অবসর নিয়েছেন ২০১১ সালে।স্ত্রী আর অবিবাহিত মেয়েকে নিয়ে সংসার।মেয়ের পড়াশোনা থেকে পরিবারের চিকিৎসা - সব চলে একমাত্র পেনশনের ওপর।অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী সুজিত দাশগুপ্ত বলেন, এটা আংশিক জয় কারণ বঞ্চনা দীর্ঘদিনের। জিনিসপত্রের দাম উর্ধ্বমুখী। ওষুধের দাম বাড়ছে প্রতিদিন এটা ক্রমবর্ধমান। আরেক দিকে ব্যাঙ্ক সুদ কভার মাধ্যমে আমাদের বেতন যতটুকুনি পেনশন হিসেবে পাই সেটাও কমছে।

 অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী  অরুণ চক্রবর্তী বলেন, DA আমাদের অধিকার আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাই না। আমরা যখন DA চাইতে গিয়েছি উনি গৃহপালিত পশুদের সঙ্গে আমাদের তুলনা করেছেন। কিন্তু সরকারের বিগত ১৩ বছরে যে কার্যক্রম যেভাবে চলছে উনি কতটা দেবেন এর উপরে কিন্তু আমরা আস্থাশীল নই। যতক্ষণ না হাতে পারছি ততক্ষণ বিশ্বাস করছি না।'