নয়াদিল্লি, বিজেন্দ্র সিংহ:  ডিএ ( DA ) মামলা ফের পিছোল সুপ্রিম কোর্টে । ফের শুনানি আগামী ২৪ এপ্রিল।



যন্তর মন্তরে চলছে DA-ধর্না


আরেক দিকে রাজধানীর যন্তর মন্তরে চলছে DA-ধর্না। কেন্দ্রীয় সরকারের হারে বকেয়া DA-এ ছাড়াও অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ এবং স্বচ্ছভাবে শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে সরব হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।


আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, এত কম সময়ে রাষ্ট্রপতি-সাক্ষাতের সময় পাওয়া সম্ভব নয়। তাই ই-মেল করে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। আজ উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে DA-আন্দোলনকারীদের। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বাইরে থাকায়, তাঁর মন্ত্রকেও ডেপুটেশন জমা দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান কর্ণাটকে রয়েছেন, তবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের আজ যন্তর মন্তরের ধর্না-মঞ্চে আসার কথা রয়েছে বলে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ জানিয়েছে। 


 ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে হাইকোর্ট


এদিকে DA-জট কাটাতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে হাইকোর্ট। ১৭ এপ্রিলের মধ্যে কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, কর্মচারী সংগঠনের তরফে তিনজন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।

'ইতিবাচক সমাধান সূত্র বের করতে মুখ্যসচিব, অর্থসচিব-সহ দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তিরা কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে কথা বলুন।' রাজ্যকে নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। হাইকোর্টের পরামর্শ, 'কর্মচারীরা বারবার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। সরকারের পদক্ষেপের প্রয়োজন।' 


' গত ৬ তারিখের কর্মবিরতির কারণে ৪৩৬ কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এটা খতিয়ে দেখতে হবে। ' মন্তব্য করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। প্রশ্ন করেন, 'সরকারি কর্মীরা আজ অফিসে যাচ্ছেন? হাসপাতাল গুলির কি অবস্থা? ' উত্তরে জরুরি পরিষেবা চালু আছে বলে জানান হাই কোর্টের কর্মচারী সংগঠনের আইনজীবী সপ্তাংশু বসু। 'এই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কর্মচারী সংগঠনগুলি কি চূড়ান্ত নির্দেশ না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারছে না? ' প্রশ্ন করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। উত্তরে কর্মচারী সংগঠনের আইনজীবী বলেন, ' মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। তার বিরুদ্ধেই আমাদের পেনডাউন' ।  'এই সমস্যার জন্যে তো বেশ কিছু আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার উপায় রয়েছে।' মন্তব্য করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। জানতে চান, সেদিন কতজন কর্মী এসেছেন জানবেন কী করে? বায়োমেট্রিক আছে? 'সব জায়গায় নেই।' জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল। 'দেশের বহু জায়গায় পঞ্চায়েত অফিসেও বায়োমেট্রিক হাজিরার ব্যবস্থা আছে। এখানে নেই? '  প্রশ্ন করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।