বিজেন্দ্র সিংহ, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : বকেয়া ডিএর দাবিতে ৫৪ দিনে পড়ল শহিদ মিনার চত্বরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের অবস্থান আন্দোলন। ৪০ দিনে পড়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অনশন কর্মসূচি। এই প্রেক্ষাপটেই আজ ডিএ মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই দিকেই চেয়ে রয়েছে হাজার হাজার রাজ্য সরকারি কর্মচারী ।
বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের টাগ অফ অয়্যার অব্যাহত। ডিএ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত বাংলায় । রাজ্য বাজেটে ৩ শতাংশ ডিও বৃদ্ধির ঘোষণার পরও, ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA-এর ফারাক ৩২ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী বলেই দিয়েছেন, আপাতত আর DA বাড়ানো যাবে না । বকেয়া ডিএ দেওয়া প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ' কত চাই? কত দিলে সন্তুষ্ট হবেন? দয়া করে আমার মুণ্ডটা কেটে নিন তাহলে যদি আপনারা সন্তুষ্ট হন। আমাকে যদি পছন্দ না হয়, তাহলে আমার মুণ্ডটা কেটে নিন। কিন্তু এর থেকে বেশি আমার থেকে আর পাবেন না। সিপিএম এর আমলে সব DA বকেয়া ছিল। ৩৪ বছরে, সিপিএম মাত্র ৩৩ শতাংশ DA দিয়েছে। আমরা ৯৯ শতাংশ প্লাস ৬ শতাংশ DA দিচ্ছি। কত হল। ১০৫ শতাংশ DA দিচ্ছি। '
আরও পড়ুন :
'দিদিমণি গটআপ করে নিয়েছেন বলে প্রচার' এবার বাবুলকে নিয়ে বোমা ফাটালেন অর্জুন
এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালতের দিকেই তাকিয়ে শীর্ষ আদালত। বারবার মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে আজ বকেয়া ডিএ মামলা নিষ্পত্তি হতে পারে। এর আগে এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান, সর্বোচ্চ আদালতের দুই বাঙালি বিচারপতি। প্রথমে ফলে পিছিয়ে যায় শুনানি। আজ বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে হবে মামলার শুনানি।
২০২২ এর ২০ মে, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়,৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA মেটাতে হবে। রাজ্য সরকার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেও ২২ সেপ্টেম্বর তা খারিজ করে দেয় আদালত। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৪ নভেম্বর, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।
এদিকে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চের ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারীদের বেতন কাটার নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে সরকারের তরফে।