কলকাতা: ব্যারাকপুরের হারহিম করা ডাকাতির ঘটনায় এখনও থমথমে এলাকা। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক শ্যুটআউটের ঘটনায় পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
একঝলকে পূর্বের ঘটনা...
২৪.০৫.২২: ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি, মালিকের ছেলে খুন
- ১৩.০৩.২২: জনবহুল এলাকায় পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুুপম দত্ত খুন
- ১৬.০৫.২২: ব্যারাকপুরেই বিরিয়ানির দোকানে ভরদুপুরে শ্যুটআউট
- ২.২৩: আসানসোলে হোটেলে ঢুকে গুলি, মালিকের মৃত্যু
- ০২.০৪.১৭: সোনারপুরে ভর সন্ধ্যায় সোনার দোকানে গুলি, মালিক খুন
- ২৭.০৭.১৭: কলকাতার যোধপুুর পার্কে ভরদুপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি
ডাকাতি আটকাতে যাওয়ায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলেকে গুলি করে খুন। ভরসন্ধেয় ব্যারাকপুরের আনন্দপুরী এলাকায় হাড়হিম করা ঘটনার পর ২২ ঘণ্টা পার। এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। অন্ধকারে টিটাগড় থানার পুলিশ। এদিন নিহত নীলাদ্রি সিংহর বাড়িতে যান সাংসদ অর্জুন সিং, কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবার। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। শনিবার ব্যারাকপুর ও পলতায় ব্যবসা বন্ধের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। ব্যারাকপুরের আনন্দপুরী, অভিজাত এলাকা রীতিমতো জনবহুল। বাজার রয়েছে। সামনেই ব্য়াঙ্ক। রাতদিন হাজারো লোকের আনাগোনা। তার মধ্যেই গতকাল ভরসন্ধেয় ক্রেতা সেজে, হেলমেট, টুপি, মাস্কে মুখ ঢেকে সিংহ জুয়েলারি হাউসে হানা দেয় ডাকাতরা। লুঠপাটে বাধা দেওয়ায় গুলি করে খুন করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলেকে। গুলিবিদ্ধ হন স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও তাঁর এক কর্মচারী। এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ভরসন্ধেয় ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে শ্যুটআউট। অভিযোগ, ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায়, গুলি করে দুষকৃতীরা। মৃত্যু হয় সোনার দোকানের মালিকের ছেলের। জখম হন আরও ২ জন। শ্যুটআউটের পর দুষ্কৃতীরা মোটরবাইকে চেপে পাতুলিয়ার দিকে পালিয়ে যায় বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।
বেপরোয়া, চাঞ্চল্যকর, রোমহর্ষক, ভরসন্ধেয়, ব্যারাকপুর স্টেশনের অদূরে, জনবহুল এলাকা ওল্ড ক্যালকাটা রোডের উপর আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে শ্যুটআউট। অভিযোগ, ডাকাতিতে বাধা পেয়ে পর পর গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। মৃত্যু হল সোনার দোকানের মালিকের ছেলে নীলাদ্রি সিংহর। মাস ছয়েক আগে বিয়ে হয় নীলাদ্রির।
গুলিবিদ্ধ হন সোনার দোকানের মালিক এবং নিরাপত্তারক্ষী। বুধবার সন্ধে। লোকজনে কার্যত গমগম করছিল আনন্দপুরী এলাকা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হঠাৎই এই সোনার দোকানে ঢুকে পড়ে সশস্ত্র চার দুষ্কৃতী। কারও মাথায় ছিল হেলমেট। কারও মাথায় টুপি। সকলেরই মুখ মাস্কে ঢাকা ছিল।
অভিযোগ, সোনার দোকানে ঢুকে পিস্তল দেখিয়ে লুঠপাটের চেষ্টা করে তারা। তখনই বাধা দেন সোনার দোকানের মালিকের ছেলে। অভিযোগ, এরপরই গুলি চালায় এক দুষ্কৃতী। গুরুতর, জখম অবস্থায় সোনার দোকানের মালিকের ছেলেকে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
রাতে নিহতের বাড়িতে যান কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। পুলিশ সূত্রে দাবি, শ্যুটআউটের পর মোটরবাইকে চেপে পাতুলিয়ার দিকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এলাকায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।