মুন্না আগরওয়াল, তপন: মাঝরাস্তায় চুলের মুঠি ধরে মার। নির্বিচারে কিল, ঘুষি! মারতে মারতে ফেলে দেওয়া হল রাস্তায়। দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) তপনে (Tapan) আরএসএস (RSS)-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) বা এবিভিপি-র দুই সদস্যকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। যদিও ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।


এবিভিপি সদস্য কৌশিক সাহার অভিযোগ, বুধবার সকালে তিনি যখন ব্যাঙ্কে যাচ্ছিলেন, তখন ৩০-৩৫ জন টিএমসিপি সদস্য তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করে। নিরাপত্তার দাবিতে তপন থানার দ্বারস্থ হন তিনি। অভিযোগ, এরপর তাঁর বাড়িতেও চড়াও হয় টিএমসিপি কর্মী সমর্থকরা। সেই সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর মাকে হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ফের থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পথ আটকায় টিএমসিপি কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ, মারধর করা হয় এবিভিপি সদস্য কৌশিক সাহা, তাঁর মা এবং অপর এক এবিভিপি সদস্য ছোটন প্রামাণিককে। 


আরও পড়ুন এপিসি কলেজের পড়ুয়াদের মারধরের অভিযোগ টিএমসিপির বিরুদ্ধে, ধুন্ধুমার মধ্যমগ্রামে


দক্ষিণ দিনাজপুরের এবিভিপি আহ্বায়ক বাপ্পা মহন্ত এই ঘটনায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘দোষীদের শাস্তি না দিলে জেলা এবিভিপি তপন থানা ঘেরাও করবে।’


যদিও, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি ডালিয়া আচার্য দাবি করেছেন, ‘তৃণমূলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে বিভিন্ন পোস্ট হয়, সেখানে কুরুচিকর মন্তব্য করে কৌশিক সাহা। একটু ধস্তাধস্তি হয়েছে মারধর হয়নি। পুরসভা ভোটের পর থেকেই বিভিন্ন কলেজে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে এবিভিপি।’


এবিভিপি সদস্যদের মারধরের ঘটনায় তপন থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও, এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।  


কিছুদিন আগেই ফি কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ চলাকালীন টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুরের এপিসি কলেজের পড়ুয়াদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে এসএফআই।