চঞ্চল মজুমদার, দক্ষিণ দিনাজপুর : দিনে একাধিক ট্রেন চলে, তবে প্ল্যাটফর্ম একটিই। নেই ফুটব্রিজও। হতশ্রী অবস্থা দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর স্টেশনের। যা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ যাত্রীদের। শনিবার, মালদা-বালুরঘাট রুটের এই স্টেশনটি পরিদর্শনে আসেন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম। স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে হাল ফেরানোর আশ্বাস দিলেন কাটিহারের ডিআরএম। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির জমানায় কোনও কাজই হয়নি। যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, স্টেশনের উন্নয়ন নিয়ে কথা হয়েছে। কলকাতায় আসার জন্য প্রতিদিন মাত্র দুটি ট্রেন ছাড়ে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে। একে ট্রেন কম। তার উপর বেহাল স্টেশনের পরিকাঠোমা। রেলকর্তাদের পরিদর্শনের পর ছবিটা কি বদলাবে? অপেক্ষায় বুনিয়াদপুর।


এদিন যখন ত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম পরিদর্শনে যান, তাঁর সঙ্গে ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রেলের পরিদর্শন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষের অভিযোগ, বিজেপির আমলে বঞ্চিত দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষ। পাল্টা জবাব দিয়েছে গেরুয়া শিবির। পরিদর্শনের শেষে কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম শুভেন্দু চৌধুরী বলেছেন, 'রুটিন পর্যবেক্ষণ করতে এসেছি, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যর বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফান্ড হলে সব কাজ হবে, এই নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে।'


যদিও গোটা বিষয় নিয়ে বালুরঘাটের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ বলেছেন, 'একাধিকবার বুনিয়াদপুর, গঙ্গারামপুর স্টেশনের পরিকাঠামো নিয়ে বলেছি। দক্ষিণ দিনাজপুর নিয়ে এদের কোনওদিন মাথাব্যথা ছিল না। নতুন সাংসদ আসার পর আশা করেছিলাম দক্ষিণ দিনাজপুরের পরিকাঠামোর উন্নতি হবে। বাজেটও কোনও বরাদ্দ হয়নি।' পাল্টা বিজেপি সাংসদ ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'রেলের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে এসেছেন ডিআরএম। ডিএমকে এই নিয়ে লিখেছি, এই নিয়ে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।'


আরও পড়ুন- একসময় নাকি আসতেন রানি রাসমণি, করোনার জেরে এবার শুধু শাস্ত্রীয় মতে পুজো বালুরঘাটের বুড়াকালী মন্দিরে