সনৎ ঝা ও মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং:  দ্বিতীয় মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন বাংলার চার বিজেপি সাংসদ। তবে দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্ত মন্ত্রী না হওয়ায় কার্যত হতাশ পাহাড়ের গেরুয়া শিবির। রাজু বিস্তকে মন্ত্রী করা হলে পাহাড়বাসী খুশি হতেন, এমনটাই মনে করছেন তাঁরা। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও দিলেন দার্জিলিঙের বিধায়ক। যদিও এই গোটা ঘটনা দেখে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


দু’বছর পর দ্বিতীয় মোদি সরকারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ হয়েছে বুধবার। বলার দুই পুরনো মুখ বাদ পড়লেও, জায়গা পেয়েছে চার নতুন মুখ।  প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। শুধু তাইই নয়, দায়িত্ব আরও বেড়েছে নিশীথের। অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে তাঁর ডেপুটি হয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ। এছাড়াও আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা চা বাগানে কাজ করতেন, শ্রমিক নেতা হিসেবে উত্থান হয়েছিল তাঁর। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন বার্লা। মতুয়া ঠাকুরবাড়ির সদস্য ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং জঙ্গলমহলের জেলা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার ও দায়িত্ব পেয়েছেন। 


উত্তরবঙ্গের দুই সাংসদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হলেও, স্থান পাননি দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত। এতে কার্যত হতাশার সুর পাহাড়ের বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের গলায়। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন দার্জিলিঙের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, রাজু বিস্তকে মন্ত্রী করা হলে, খুশি হত পাহাড়বাসী।


নীরজ জিম্বা বলেছেন, '২ জন উত্তরবঙ্গ থেকে কেন্দ্রের মন্ত্রী হয়েছেন, এটা ভাল। রাজু বিস্তের এলাকা থেকে ৫ জন বিধায়ক হয়েছেন। অনেক কাজ করেছেন রাজু। ওনাকে মন্ত্রী করা উচিত ছিল। এটা মাথায় রাখতে হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে।' এই ইস্যুতে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। দার্জিলিঙ তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র বেদব্রত দত্ত বলেছেন, 'পুরো দলটাই অস্তিত্বহীনতায় ভুগছে। দার্জিলিঙের সাংসদ পরিযায়ী পাখি। দলটাই অবলুপ্ত হয়ে যাবে।' 


যদিও এবারের বিধানসভা ভোটে দার্জিলিঙ জেলার ৫টি বিধানসভা আসনের মধ্যে, সবকটিই গিয়েছে বিজেপির দখলে। সূত্রের খবর, এই ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই রাজু বিস্তের মন্ত্রিত্ব লাভের আশা করেছিল দলের একাংশ।