মলয় চক্রবর্তী ও রাজা চট্টোপাধ্যায়, দার্জিলিং: ফের বড়সড় সাফল্য পেল বন দফতর (Forest Department)। উদ্ধার করা গেল চিতা বাঘের চামড়া (Cheetah skin)। গ্রেফতারও করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে (accused smugglers)।
পাচার করার পরিকল্পনা ছিল উদ্ধার হওয়া চিতাবাঘের চামড়াগুলি। কিন্তু বনকর্মীদের তৎপরতায় পাচার হওয়ার আগেই উদ্ধার করা গেল সেসব। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ধৃতদের নাম পাসাং লামা ও সিরিং তামাং। তারা দু'জনেই দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা।
গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল আগেই। তাতেই তৎপর হয় বনকর্মীরা। বন দফতর সূত্রে খবর, গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে অভিযানে নামেন তাঁরা। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি রাস্তার জলপাইমোড়ের কাছে একটি চার চাকার যাত্রীবাহী ছোটো গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। গাড়ির মধ্যে থেকে একটি সুটকেস পাওয়া যায়। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় চিতা বাঘের চামড়া।
ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকে। বন দফতর সূত্রে আরও খবর, উদ্ধার হওয়া চিতা বাঘের চামড়াটি এক পূর্ণ বয়স্ক চিতা বাঘের। বনকর্মীদের অনুমান চিতা বাঘটি শিকার করে চামড়াটি নেপালে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল পাচারকারীদের। ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হবে বিচারের জন্য।
আরও পড়ুন: Malda: বিয়ের ৬ বছর পর পণ না মেলায় বধূকে হত্যা! অভিযোগ চাঁচলের সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে
একদিকে যখন বাঘ মেরে তার চামড়া পাচারের তোড়জোর চলছে তখন অপরদিকে দক্ষিণবঙ্গে মানুষ বাস করছে বাঘের আতঙ্কে। গত ২ মাসে এই নিয়ে ষষ্ঠবার, ফের ত্রাস ছড়াল ডোরাকাটা। গোসাবা ও পাথরপ্রতিমার পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) রায়দিঘিতে (Raidighi) বাঘের আতঙ্ক (Tiger Fear)। নদীর চরে মিলেছে বাঘের পায়ের ছাপ। রয়্যাল বেঙ্গলের (Royal Bengal Tiger) খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন বন আধিকারিক ও কর্মীরা।
ফের নদীর চরে পায়ের ছাপ!রাস্তার ওপর বাঘ দেখার দাবি!আর এসব ঘিরেই, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির দমকল গ্রামে ছড়াল বাঘের আতঙ্ক! গত ২ মাসের মধ্যে এই নিয়ে ৬ বার।