বাচ্চু দাস, নকশালবাড়ি, দার্জিলিং: তরাই এলাকা। কাছেই জঙ্গল। আশেপাশে একাধিক চা বাগান (tea garden), আর কিছুদূরেই নেপাল সীমান্ত। এমন এলাকা যেন হাতিদের অত্যন্ত পছন্দের। প্রায়শই এদিক-ওদিক থেকে নকশালবাড়ি ও তার আশেপাশের এলাকায় দেখা যায় হাতির দল। কখনও কখনও দলছুট হাতিও এসে পড়ে। কখনও আবার দেখা যায় দলছুট হস্তিশাবককে। ঠিক তেমনই একটি ঘটনা ঘটল বুধবার। 


কীভাবে উদ্ধার:
কোনও ভাবে দলছুট হয়ে চলে এসেছিল একটি হস্তিশাবক (elephant calf)। বুধবার সকালে শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার নকশালবাড়ি (Naxalbari) ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী ঝাপুজোত এলাকার ঘটনা। সকালেই এলাকায় শাবকটিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। কোনওভাবে শাবকটির ক্ষতি হতে পারে, না কোনওভাবে আঘাত লাগতে পেরে ভেবে উদ্বেগ ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। তাছাড়া, শাবকটির খোঁজে দলের বাকিরা ওই এলাকায় চলে এসে তান্ডব চালাতে পারে ভেবেও আতঙ্ক ছড়ায়। হস্তিশাবকটিকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। খবর পেয়েই এলাকায় আসেন বনকর্মীরা (Foest Guards)। টুকুরিয়াঝার ও বাগডোগরা বনবিভাগের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। শাবকটিকে উদ্ধার করতে বনদফতরকে বড় জাল ব্যবহার করতে হয়। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পর শাবকটিকে জালে বন্দি করে ট্র্যাক্টরে তোলা হয়। তারপরে মেচি নদী পার করে নিয়ে যাওয়া হয় বাগডোগরার টাপুই বিট অফিসে। পরে শাবকটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বেঙ্গল সাফারিতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।


বারবার এক ঘটনা:
সারা রাজ্যেই হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বের ছবি দেখা যায়। একাধিকবার বিভিন্ন জেলায় হাতির তাণ্ডব, দলছুট শাবক ধরা পড়ার ঘটনা ঘটে। এই মাসেই আলিপুরদুয়ারেও ঠিক এমনই একটি ঘটনা
ঘটেছিল। সম্প্রতি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত নিমাতি রেঞ্জ এলাকায় একটি হস্তিশাবক গর্তে পড়ে যায়। একটি হাতির দল নিমাতি এলাকায় বেরিয়ে আসার সময় ওই ঘটনা ঘটে। শাবকের চিৎকারে বিষয়টি টের পান বনকর্মীরা। তাঁরা খবর দেন উদ্ধারকারী দলকে। তাদের চেষ্টায় জেসিবি দিয়ে মাটি কেটে সারা রাত চলে উদ্ধার কাজ। পরে দলের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয় শাবকটিকে।


আরও পড়ুন: আলুতে মেশানো যাবে না রং, সিঙ্গুরে অভিযান করে বার্তা পুলিশের