বাচ্চু দাস, শিলিগুড়ি : করোনাকালে দীর্ঘদিন গৃহবন্দী থাকতে থাকতে হাঁফিয়ে উঠেছে মানুষ। সংক্রমণে একটু লাগাম পড়তেই ধীরে ধীরে ভ্রমণমুখী বাঙালি। আর আসন্ন গরমে যে ভ্রমণপ্রেমী বাঙালির গন্তব্যস্থল হয়ে উঠবে দার্জিলিং, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার আগে পর্যটকদের জন্য এল খুশির খবর। দার্জিলিং-হিমালয়ান রেলওয়ের (Darjeeling-Himalayan Railway) টয় ট্রেনে সমস্ত কোচকেই করা হচ্ছে ভিস্তাডোম (Vistadome)।
আগামী ১ মার্চ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং, দার্জিলিং থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত টয় ট্রেনের তিনটি কোচই থাকবে ভিস্তাডোম কোচ। পাশাপশি দার্জিলিং থেকে ঘুম, ঘুম থেকে দার্জিলিং স্টেশনে চলাচলকারী জয় রাইডের সমস্ত কোচও হচ্ছে ভিস্তাডোম । তবে ন্যারো গেজের জন্য কোচ ছোট হওয়ায় চেয়ারগুলি ঘুরবে না। জানালায় বড় বড় স্বচ্ছ কাচ দিয়ে দেখা যাবে পাহাড়ের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
শিলিগুড়ি কারশেডে ভিস্তাডোম কোচ তৈরির কাজ চলছে। সেই সঙ্গে ভাড়াও কমিয়ে আনা হল ১৫০০ টাকায়। আগে সর্বোচ্চ ভাড়া ছিল ১৭২০ টাকা। ১ মার্চ থেকে একটাই ভাড়া, ১৫০০ টাকা। বুধবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে নিউ জলপাইগুড়ির এডিআরএম সঞ্জয় চিলওয়ারওয়ার রেলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আরও পড়ুন ; শনিবার থেকে অসমেও ছুটবে ভিস্তাডোম টুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন, রুট গুয়াহাটি থেকে নিউ হাফলং
প্রসঙ্গত, ভিস্তাডোম কোচ মূলত পাহাড়ি এলাকায় ব্য়বহার করা হয়। এই কোচের মাধ্যমে দেখা যায় যাত্রাপথের মনোরম দৃশ্য। পর্যটন শিল্পকে আরও বাড়ানোর জন্য এই কোচের ব্যবহার করা হয়।
ভিস্তা ডোম কোচের কী বিশেষত্ব ? এই বিশেষ সুসজ্জিত কামরা হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। কামরায় মাথার ওপর খোলা আকাশ। আশপাশও কাচের। এ ছাড়া ভিস্তা ডোমে থাকে রিভলভিং চেয়ার। যাতে পর্যটকেরা একদিকে চেয়ারে বসেই অন্যদিকের জানালা দিয়ে বাইরের প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করতে পারবেন। কোচগুলি থেকে পর্যটকরা খোলা আকাশ, পাহাড়, সবুজ বনভূমির ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ দেখতে পারবেন।